রাজু আনসারী, অরঙ্গাবাদ: গঙ্গার জলস্তর কমতেই নতুন করে ভাঙনে আতঙ্কে ত্রস্ত মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের উত্তর চাঁচন্ড গ্রামের বাসিন্দারা। নতুন করে আবারও সামসেরগঞ্জের উত্তর চাঁচন্ড গ্রামে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙন। নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় স্থানীয়রা অনেকেই বাড়ি ঘর আশ্রয় ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। ভাঙনের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে সামশেরগঞ্জের উত্তর চাঁচন্ড গ্রামে। বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে নতুন করে গঙ্গা ভাঙন দেখা দিয়েছে সামশেরগঞ্জের উত্তর চাঁচন্ড এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জমি ও গাছ এমনকি ১০ টির বেশি বসত বাড়ি নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। গঙ্গা গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে দীর্ঘদিনের মাটির বাঁধ এবং ২০ টির বেশি বাড়ি নদীর ধারে ঝুলছে যে কোনো সময় নদীতে তলিয়ে যেতে পারে সে সব বাড়ি ভাঙনের আতঙ্কে নদী পাড় থেকে বাড়ি ভেঙে অন্যত্রে সরে যাচ্ছে। বাড়িঘরের যাবতীয় আসবাব পত্র গঙ্গায় পড়ে গেলেও ঘুম থেকে জেগে কোনরকমে প্রাণে বেচেঁছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়িঘর হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কোথায় যাবেন কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। নতুন করে গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্কে কার্যত হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে। ভাঙন আতঙ্কের পর এলাকা ছাড়ছেন সাধারণ মানুষ। নিজ নিজ সামগ্রী নিয়ে পালানোর হিড়িক পড়েছে গ্রামজুড়ে। রাতের অন্ধকারে এমন ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙ্গনের আতঙ্কে হাহাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উত্তর চাঁচন্ডতে। হঠাৎ ভাঙনের ফলে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ উত্তর চাঁচন্ড গ্রামে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়। চোখের নিমিষেই তলিয়ে যায় গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় ১০ টির বেশি বাড়ি। বাড়ি ছেড়ে জীবন বাজি রেখে কোনরকমে বেড়িয়ে আসতে সক্ষম হন পরিবারের সদস্যরা। ভোর রাত থেকে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হতেই এলাকাজুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বাড়ি ঘর থেকে যা যা সামগ্রী রয়েছে তা নিয়ে অন্যত্র পালাতে শুরু করেন সাধারন মানুষ। উত্তর চাঁচন্ড গ্রামের মত ঘনবসতিপূর্ন এলাকায় ভাঙ্গন ঘিরে গ্রামজুড়ে হাহাকার আর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। গঙ্গা ভাঙনের খবর পেয়ে সামসেরগঞ্জের উত্তর চাঁচন্ড গ্রামে যান সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গিয়ে অসহায় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি ভাঙ্গনে ক্ষ্তিগ্রস্থদের জন্য জরুরী কালীন ভাবে খাবারের বন্দোবস্ত করা ও তাদের সামশেরগঞ্জের বাসুদেবপুর হাইস্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।এবং বৃহস্পতিবার ভোর রাত তিনটা নাগাদ গঙ্গা ভাঙন শুরু হয় সামসেরগঞ্জের উত্তর চাঁচন্ড গ্রামে গঙ্গা ভাঙনের ১২ ঘন্টা পরে ক্ষ্তিগ্রস্থ পরিবারগুলোর কাছে ছুটে যান সামসেরগঞ্জের বিডিও সুজিত চন্দ্র লধ্। এদিন বেলা তিনটা নাগাদ উত্তর চাঁচন্ড গ্রামে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গিয়ে অসহায় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বিডিও’র নির্দেশে অসহায়দের মাঝে ত্রিপল সহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় ভাঙ্গন এলাকার মানুষদের। পাশাপাশি সর্বহারা পরিবারগুলোকে অস্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য জায়গা চিহ্নিত করেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct