মনিরুজ্জামান, হাড়োয়া, আপনজন : ডেঙ্গু মশা বাহিত ভাইরাল রোগ। বছরের অনেকটা সময় জুড়েই থাকছে ডেঙ্গু জ্বর। বাঙালির সর্ব শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয়া দুর্গোৎসবের মরসুমে মারণঘাতী এডিস মশার আক্রমণ থেকে বাঁচতে আমাদের সচেতন ও এর প্রতিরোধে সবাইকে সামাজিক দায়িত্ব মনে করে এগিয়ে আসতে হবে।সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকে প্রতি বছরের মতো এবারও ডেঙ্গু অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়লেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি একেএম ফারহাদ। শনিবার নিজের জেলা পরিষদের নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাসাত -২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মশারী বিতরণ, ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো,তেল স্প্রে করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, উৎসবের মধ্যেও আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ কোনও ভাবেই যেন শারীরিক অবসাদে না যায়। বাংলার জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম সহ দলীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া আমাদের কাজ।তিনি আরও বলেন, যেহেতু ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান কর্তা এডিস মশা এবং এই মশাটি ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ ছড়ায় তাই এর প্রতিরোধে আমাদের সচেতন হতে হবে ও কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী।স্বচ্ছ জলে এডিস মশা ডিম পাড়ে। ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের জল এদের পছন্দ নয়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী জায়গাগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে। মশা মারার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।এডিস মশা মূলত দিনের বেলা, সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে রাতের উজ্জ্বল আলোতেও এডিস মশা কামড়াতে পারে। মশার কামড় থেকে বাঁচতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে। শিশুদের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে যাতে মশা কামড়াতে না পারে।
ঘরে সাজানো ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটো, যে কোনও পাত্র বা জায়গায় জমে থাকা জল তিন থেকে পাঁচ দিন পরপর ফেলে দিতে হবে। ঘরের বাথরুমে কোথাও জমানো জল পাঁচ দিনের বেশি যেন না থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ঘরের অ্যাকুয়ারিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ারকন্ডিশনারের নিচে এবং মুখ খোলা জলের ট্যাঙ্কে যেন জল জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।বাড়ির ছাদের টবে বা পাত্রে যেন কোনও ধরনের জল পাঁচ দিনের বেশি না জমে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বাড়ির আশপাশে ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর সন্দেহ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে হবে।এলাকার ছেলে একেএম ফারহাদ জনপ্রতিনিধি হিসাবে যেভাবে মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন তাতে এলাকার নবীন থেকে প্রবীণ সবাই খুশি। ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের বৃহত্তর কাজের স্বার্থে এরকম জনসেবককে যেন উচ্চতর স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয় এটাই দলের কাছে আর্জি এলাকার মানুষের।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct