মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: পূর্ব বর্ধমানের রুরাল হেলথকেয়ার প্রোভাইডার এসোসিয়েশন গ্রামীন চিকিৎসক সংগঠন সারা বছর ধরে মানুষের স্বার্থে কাজ করে যায়। করানোর সময় পাস করা ডাক্তাররা যখন গৃহবন্দী ছিল তখন জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে গ্রামের মানুষদের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে গেছে এই গ্রামীন চিকিৎসকরা। এদিন এই সংগঠন সেহারাবাজার এলাকায় বাসস্ট্যান্ডে ডেঙ্গু বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে ও এলাকার বিশিষ্ট কিছু ব্যক্তিত্বকে সংবর্ধিত করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম, জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য পরিবেশ কর্মধক্ষ বিশ্বনাথ রায়, খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মীর শফিকুল ইসলাম, খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অনাবিল ইসলাম, আর এক কর্মাধ্যক্ষ বিদ্যুৎকান্তি মল্লিক, সেহারাবাজার রহমানিয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সম্পাদক হাজী কুতুব উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সগরায় অঞ্চলের প্রধান দেবযানী রায়, সেহারা অঞ্চলের প্রধান পুরঞ্জয় সরকার, কৈয়র অঞ্চলের প্রধান শাজাহান মন্ডল সহ আরো বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ডেঙ্গু বিশেষ সচেতনতার সঙ্গে সঙ্গে মশারি বিতরণ করা হয়। সংগঠনের জেলা সম্পাদক ওয়াজেদ আলী বলেন আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকি। বর্তমানে ডেঙ্গুর খুবই বার বাড়ন্ত এ থেকে মানুষকে সচেতন করা দরকার। আমরা মানুষকে সচেতন করলাম তার সঙ্গে মশারির বিতরণ করলাম। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম গ্রামীণ চিকিৎসক সংগঠনের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গ্রামীণ চিকিৎসার সংগঠনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। রহমানিয়া ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সম্পাদক হাজী কুতুব উদ্দিন বলেন করানোর সময় গ্রামিন চিকিৎসকদের অবদান ভোলা যাবে না। ডিগ্রিধারি ডাক্তাররা যখন গৃহবন্দী ছিলেন তখন গ্রামীণ ডাক্তারেরা মানুষের সেবা দিয়ে গেছে। সংগঠনের পক্ষে অসিত চক্রবর্তী, কামরুজ্জামান, তীর্থঙ্কর, নয়ন রুইদাস, শফি, তসলিম চৌধুরী, ইয়াসিন সহ অনেক সদস্য উপস্থিত হয়েছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct