নিজস্ব প্রতিবেদক, মালদা, আপনজন: করোনার পর থেকে রোজগার তলানিতে এসে ঠেকেছে কালিয়াচকের হকারদের। সামনে দুর্গাপুজো। মানুষের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠবে চারিদিক। বাড়বে রকমারি খাদ্য সামগ্রীর বিক্রিও। আশায় বুক বেঁধেছেন হকারেরা। আনন্দে উদ্বেলিত তাঁরা। যা রোজগার এই সময় করে নিতে হবে। করোনার পর সব স্বাভাবিক হলেও এখনও হাল ফেরে নি তাঁদের। রোজগার অর্ধেকের কমে এসে ঠেকেছে। সারাদিন ভূতের মতো পরিশ্রম করে, এপ্রান্ত-ওপ্রান্ত ঘুরে ৫০০ টাকার মতো রোজগার হয়ে থাকে। সেখানে করোনার আগেও হকারেরা ১২০০ টাকা মতো রোজগার করতেন। কালিয়াচক এলাকা জুড়ে রয়েছেন প্রায় ৩০ জন হকার। কালিয়াচক একটি জনবহুল ও ব্যস্ততম এলাকা। এই এলাকায় হকারদের নজর থাকে বেশি কারণ এখানে বিক্রিবাটা ভালই হয়। কালিয়াচক ছাড়াও জালালপুর, সুজাপুর, ১৬ মাইল, টাউনশিপ মোড় প্রভৃতি সড়ক পথ এলাকায় এই খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করে থাকেন। মাত্র ১০ টাকায় রকমারি খাদ্য সামগ্রী থাকে তাঁদের কাছে। চিনে বাদাম থেকে চকোলেট, চিড়ে ভাজা, বিস্কুট, ভুজিয়া, নিমকি-সহ আরও বেশ কিছু সামগ্রী। বছর ষাটের অশোক হালদার ওই এলাকায় ৩০ বছর ধরে হকারি করছেন। তিনি জানান, ‘আগে বিক্রি হতো ১০০০-১২০০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা। করোনোর পর খুব সংকটে আমরা মানুষের হাতে টাকা নেই। আমাদের রোজগার অর্ধেকে এসে ঠেকেছে। সেই সকালে বেরিয়ে পড়া। আবার সন্ধে হলেই বাড়ি ফেরা। কিছুটা হতাশ আমরা।’ শুরু হয়েছে পুজোর ভিড়। এরই মধ্যে আশায় বুক বেঁধেছেন হকারেরা। তাঁদের মধ্যে জয় সাহা জানান, ‘এই সময় অন্য পেশার মানুষেরা পুজোর আনন্দ নিতে ব্যস্ত। আমরা অন্য আনন্দে মশগুল। বেশি বিক্রির কথা ভেবেই আমাদের আনন্দ হচ্ছে। এই সময় একটুও সময় নষ্ট করা যাবে না। পুজোর পর আবার বিক্রিবাটা তলানিতে এসে ঠেকবে। তাই যা রোজগার করার এই সময়েই করে নিতে হবে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct