আপনজন ডেস্ক: ইউক্রেনে যেটি যুদ্ধাপরাধ, ফিলিস্তিনের গাজার ক্ষেত্রে সেটি কেন নয় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডান। এছাড়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাত আরো বাড়লে তা পুরো অঞ্চলের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটি।সোমবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, হামাস-ইসরায়েল সংঘাত আরো বাড়লে তা পুরো অঞ্চলের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
তিনি আরো বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে মিশরে সরিয়ে নেয়ার ইসরায়েলি উদ্যোগ তার দেশের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে নিউজআওয়ারের সাথে কথা বলার সময় জর্ডানের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জনসংখ্যা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেওয়া হলে এবং স্থানান্তর করা হলে তা বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করবে না’। আর তাই গাজার ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।সাফাদি বলেন, শান্তি ও মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার অধিকারের পক্ষে জনগণকে দাঁড়াতে হবে এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয় নাগরিকের হত্যার নিন্দা করা উচিত বিশ্বের। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘ইউক্রেনে খাদ্য ও পানীয় প্রবেশে বাধা দেওয়া হলে সেটি যুদ্ধাপরাধ, কিন্তু গাজার ক্ষেত্রে এটি একই নয় কেন?’মূলত মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত সপ্তাহে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামের একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসের এই অভিযানে কার্যত হতবাক হয়ে পড়ে ইসরায়েল।হামাসের এই হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১৪০০ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ২৮৬ জন সেনাসদস্যও রয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। হামাসের হামলায় আহত হয়েছেন আরো হাজার হাজার ইসরায়েলি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct