আজিজুর রহমান, পূর্ব বর্ধমান, আপনজন: বর্ধমান ব্লাইন্ড একাডেমি হোমের নন্দিনী, মঙ্গল সহ পঞ্চাশ জন আবাসিক পুড়ুয়াকে পুজোয় নতুন পোশাক দিলেন গলসির বিডিও সঞ্জীব সেন। গত মে থেকে গলসি ২ নং ব্লকের গলসির বাসিন্দা বাপ মা হারা ৯ বছরের নন্দিনী দাস ও ৬ বছরের মঙ্গল দাসের বর্তমান ঠিকানা এখনেই। বাপ মা হারা হবার পর থেকে এর ওর কাছে চেয়ে চিন্তে পেট চালাত ওই দুইজনের। সেই খবর জানতে পেরে মে মাসে জেলা আধিকারিকদের সহযোগিতায় তাদের বর্ধমান ব্লাইন্ড একাডেমিতে রেখে আসেন গলসি ২ নং ব্লক বিডিও। তবে তার পর থেকে তাদের প্রতি একটা মায়া পরে যায় তার। মাঝে মধ্যেই তাদের দেখতে যান তিনি। গত ১৫ ই আগষ্ট স্বাধীনতা দিবসের পর শনিবার মহালয়ার দিনে তাদের দেখতে আসেন তিনি। তার এই মহান কাজের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন এসডিও সদর সাউথ কৃষ্ণেন্দু কুমার মন্ডল। তিনি বলেন, সঞ্জীব খুব ভাল কাজ করছে। তার কাছে থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমরা একটা খুব ভালো অফিসার পেয়েছি। ব্লকে তার স্যোশাল কাজ দেখেছি। আজ আমরা এখান কার ছেলে মেয়েদের সাথে একত্রে খাবার খেলাম ও কিছুক্ষণ কাটালাম। খুব ভালো লাগল। এদিন তিনি ওই হোমের মা বাবা হারা ছেলে মেয়েদের জামা কাপড়, বইখাতা, ফলমুল সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার দাবার নিয়ে আসেন। আবাসিক কিশোর, কিশোরীদের কিছুক্ষণের আনন্দ দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন, এসডিও সদর সাউথ কৃষ্ণেন্দু কুমার মন্ডল, এডিএম ডেভলপমেন্ট রিদ্ধি ব্যানার্জ্জী। তারা ছাত্রছাত্রীদের সাথে বেশ কিছুটা সময় কাটান। হোমের পড়ুয়ারা তাদের নাচ গান ও জিমনাস্টিকস প্রদর্শন করে। পাশাপাশি তারাও গান শোনান হোমের বাচ্চাদের। হোমে বিডিও ও জেলা আধিকারিকরা আসায় বেশ খুশি হয়েছেন হোম কতৃপক্ষ। বর্ধমান ব্লাইন্ড একাডেমি সদস্য রাজেশ সুরানা বলেন, বিডিও স্যার এসডিও স্যার ও এডিএম ডেভলপমেন্ট ম্যাডাম মাঝে মধ্যেই আসেন। আজকে ওনারা সবার জন্য জামাকাপড় ও অনেক খাবার দাবার এনেছেন। ওনারা আসায় হোমের সকলেই আমরা খুশি হয়েছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct