আরবাজ মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: শুক্রবার রাতে তৃণমূলের উপ প্রধানের বাড়িতে দুষ্কৃতি হামলা হল। এই ঘটনায় গুরুতর আহত উপপ্রধান ও তার স্ত্রী। এই ঘটনার পেছনে বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত বলে দাবি তৃণমূলের ব্লক সভাপতির। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি বিজেপির। ঘটনাটি শান্তিপুর বেলঘড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের। আক্রান্ত ওই পঞ্চায়েতের উপর প্রধান দীপক মন্ডল এর অভিযোগ,রাতে তার বাড়িতে একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয় এরপর লোহার রড দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। ঠেকাতে যায় তার স্ত্রী তার স্ত্রীকেও বেধারক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। উপপ্রধান চেঁচামেচি করতেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েক রাউন্ড শূন্যে গুলি ছোড়ে। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে উপপ্রধান ও তার স্ত্রীকে নিয়ে যায় শান্তিপুর হাসপাতালে সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন উপ প্রধানের স্ত্রী।
শনিবার দুপুর বারোটা নাগাদ শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্ত উপপ্রধান দীপক মন্ডল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত সরকারের অভিযোগ, বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চক্রান্ত করে এই হামলা করেছে। বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে বলে উপপ্রধানের বাড়িতে এই হামলা। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতির তোলা অভিযোগ নস্যাৎ করে বেলঘড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের বিজেপি নেতা নির্মল বিশ্বাসের দাবি, তৃণমূল নিজেরাই এই ঘটনার সাথে জড়িত। বিজেপি কখনো এই ধরনের নোংরা রাজনীতি করে না। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপির শক্তি কতটা, কারণ বিজেপির পাশে মানুষ আছে।অন্যদিকে আক্রান্ত তৃণমূলের উপর প্রধান দীপক মন্ডল জানান, তিনি আগে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন, এখন উপপ্রধান। তিনি যতদিন প্রধান ছিলেন নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন, কিন্তু কেন তার বাড়িতে এভাবে হামলা এখনো স্পষ্ট হতে পারছেন না তিনি। যদিও গোটা ঘটনার তদন্তে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct