আপনজন ডেস্ক: একটি শূকরের কিডনি বানরের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল জিনগত প্রকৌশলের মাধ্যমে। সেই কিডনি প্রতিস্থাপনের পর বানরটি সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় জীবিত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সফল প্রতিস্থাপনের ফলে মানুষের দেহে অন্য প্রাণীর কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়াটি আরও এগিয়ে গেল। এতে প্রতি বছর লাখো মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে। বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বিষয়টি প্রকাশ করেছেন। তারা বলছে, প্রাইমেট গোত্রীয় বানরটির দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার ফলে মানুষের দেহ উপযোগী অন্য প্রাণীর কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টি সফল হওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। সাধারণত অন্য প্রাণীর কোনো অঙ্গ মানুষের দেহে প্রতিস্থাপিত করা হলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সেই অঙ্গে সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জিন সম্পাদনার বিষয়টিকে অনেকটাই পরিবর্তন করেছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা অন্য প্রাণীর অঙ্গকে মানুষের দেহে কার্য উপযোগী করে বদলে নিয়েছিলেন। এই বিষয়ে ই-জেনেসিসের প্রধান নির্বাহী মিশেল কার্টিস বলেন, ‘আমাদের মানুষের জন্য নতুন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দাতার সন্ধান দেবে যা হাজারো মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।’চিকিৎসকেরা আশা করছেন, এই প্রতিস্থাপন সফল হলে প্রতি বছর লাখো মানুষ বেঁচে যাবে। পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ১ লাখ মানুষের ৪০ শতাংশই নানা ধরনে কিডনি জটিলতায় ভোগেন এবং তাদের অধিকাংশেরই অঙ্গ প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ২০২২ সালে ভারতে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ লিভার ফেইলিওরের শিকার হয়েছেন। প্রায় ২ লাখ মানুষ শিকার হয়েছেন কিডনি ফেইলিওরের। কিন্তু মাত্র ১৫ হাজার মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct