আপনজন ডেস্ক: ৯ অক্টোবর অর্থাৎ সোমবার সকালে আমেরিকায় বিডেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জরুরি বৈঠক ডাকেন। এতে সাংসদ ও নিরাপত্তা প্রধানরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের জন্য লোহার গম্বুজে ব্যবহৃত ইন্টারসেপ্টর মিসাইল এবং নিখুঁত টার্গেট অ্যাটাক মিসাইলের ভীষণ প্রয়োজন। ইসরায়েলও চায় আমেরিকায় তৈরি ছোট ব্যাসের বোমা। ইসরায়েলে হামাসের হামলার ৪৮ ঘণ্টাও পেরিয়ে যায়নি যখন এই বৈঠকে ইসরায়েলে গোলাবারুদের ঘাটতির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। আমেরিকা ইসরায়েলে গোলাবারুদের প্রথম চালান পৌঁছে দিয়েছে।
জানুয়ারী ২০২৩ অর্থাৎ ১০মাস আগে। আমেরিকা ইসরাইলের অস্ত্র ভান্ডার থেকে ইউক্রেনে প্রায় ৩ লাখ ১৫৫ মিমি কামানের গোলা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রিচার্ড হেচট বলেছেন, ইউক্রেনকে দেওয়া গোলাবারুদের মালিক আমেরিকা। আমেরিকা ইউক্রেনকে ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটি থেকে সরবরাহ করেছে। এমতাবস্থায় এ ব্যাপারে ইসরায়েলের কোনো সম্পর্ক নেই।
এর কয়েক মাস আগে অর্থাৎ ২০২২ সালে আমেরিকা ইসরায়েলের কোষাগার থেকে ইউক্রেনে ১মিলিয়ন ইরানি কামানের গোলা পাঠিয়েছিল। এগুলো আমেরিকা বাজেয়াপ্ত করেছে। আমেরিকাসহ ন্যাটোর সব দেশই অস্ত্র পাঠিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করছে। একজন জার্মান কর্মকর্তা ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনকে বলেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলি ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের মজুদ ব্যবহার করায় গোলাবারুদের ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে। ন্যাটোর সব দেশ মিলে ইউক্রেনের প্রয়োজন মতো গোলাবারুদ তৈরি করতে পারছে না। ইউক্রেনের সাংসদ ওলেক্সান্দ্রা উস্তিনোভা সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতিদিন ১০০০০ এরও বেশি শেল নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু শেল স্বল্পতার কারণে আমাদের সেনাবাহিনী মাত্র ৬ হাজার শেল নিক্ষেপ করছে। কিন্তু মাসে প্রয়োজন ১ লাখ ৮০ হাজার কামানের গোলা।
কামানের বলের ঘাটতির বিষয়ে আমেরিকা সেপ্টেম্বরে বলেছিল, কামানের গোলা তৈরির ক্ষমতা দ্রুত বাড়ানো হচ্ছে। আমেরিকার লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি মাসে ১ লাখ কামানের গোলা তৈরি করা। এটা পরিষ্কার যে ইউক্রেনের চেয়ে আমেরিকা প্রতি মাসে 80 হাজার কম শেল তৈরি করছে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে আমেরিকা ইউক্রেনে গোলাবারুদ সরবরাহ অব্যাহত রাখলে তা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এর কারণ হলো, গোলাবারুদের জন্য ইসরায়েল পুরোপুরি আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct