টপি লস্কর ও বাইজিদ মণ্ডল, ডায়মন্ডহারবার: পৌরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের গ্রেফতারের পর রাজ্যের একাধিক পৌরসভার সঙ্গে ডায়মন্ডহারবার পৌরসভারও নাম জড়িয়েছিল এই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে।নিয়োগ কান্ডের তদন্ত করতে সোমবার সকালে দক্ষিণ ২৪পরগনার ডায়মন্ডহারবার পৌরসভাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সি বি আই) এর আধিকারিকেরা।
মূলত পৌরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে ডায়মন্ড হারবার পৌরসভা এবং ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মীরা হালদারের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই এর আধিকারিকেরা। প্রায় চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই এর আধিকারিকেরা। পাশাপাশি আধিকারিকদের অন্য একটি দল ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান প্রণব হালদারকে সিবিআই এর টিম বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও পৌরসভার মধ্যে তদন্ত চালায়। তদন্ত চলাকালীন পৌরসভার মধ্যে পৌর কর্মীদেরকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এমনটি পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিছু নতি নিয়ে গিয়েছে সিবিআই-এর তদন্ত আধিকারিকরা। ২০১৬ সালে অয়ন শীলের কোম্পানির হাত ধরে ডায়মন্ড হারবার পৌরসভাতে ১৬ জন কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছিল।
দীর্ঘ চার ঘন্টা ধরে মিরা হালদারের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পর বেরিয়ে গেলেন সিবিআই এর চার আধিকারিক। কয়েকটি নথি ছাড়া কিছুই নিয়ে গেলেন না মীরা দেবীর কাছ থেকে। অন্যদিকে পৌরসভা থেকেও একইভাবে নথি নেওয়া হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মীরা হালদার জানালেন তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেননি সি বি আই এর আধিকারিকরা । প্রথমে এসেই বাড়ির প্রত্যেকের মোবাইল ফোন সিবিআই হেফাজতে নিয়ে নেন। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পর চলে যাওয়ার সময় তাদেরকে মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দিয়ে চলে যান। তবে যে কয়েকটি নথি নিয়ে গেছে তাদের একটি সিজার লিস্ট করে রেখে গেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ভবিষ্যতে ওই সিজার লিস্ট দেখে তাদের নথি গুলো তদন্তের পর ফিরিয়ে দেওয়ার হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে ঘরের মধ্যে ৪ ঘন্টা ধরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করেছেন সেই সাথে জিনিসপত্র ওলট-পালট করে দিয়েছে জানিয়েছেন মীরা হালদার। তিনি জানিয়েছেন কোন ধরনের অন্যায় আমি করিনি সুতরাং ভয়ের কোন জায়গা আমার নেই, তাই আমি যে নিয়োগ করেছি তা একেবারে স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ করেছিলাম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct