আপনজন ডেস্ক: রবিবার উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফিরেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর ফিরেই তিনি জানিয়ে দেন, তিনি ভোর ৪টে থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত অফিসে থাকেন। যে কেউ চাইলে তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে, তার জন্য নিয়ম মানতে হবে। অবশেষে রাতে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চানার কথা মোনেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে অধিক রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেছেন, তিনজন তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধি এসেছিলেন। আমি তাদের অভ্যর্থনা জানিয়েছি। তারা আমাকে তাদের অভিযোগগুলি জানিয়েছেন। সেগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে বলেছেন। আমি তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি,আমি অবশ্যই এটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়ে যাব। রাজ্যপাল হিসাবে এটা আমার দায়িত্ব।
রবিবার রাজভবনের বাইরে তিন দিনের অবস্থান ধর্মঘটের নেতৃত্ব দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিজেপিসুলভ আচরণের সমালোচনা করেন এবং এমজিএনআরইজিএ-র আওতায় রাজ্যের বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেন। অভিষেক বলেন, আমরা জানতে পেরেছি রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে রাজভবনের বাইরে অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি অবস্থান ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। আমার প্রশ্ন, বিজেপি নেতারা যখন রাজভবনকে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করেন, তখন গণতান্ত্রিক রীতিনীতি নিয়ে তাঁর উদ্বেগ কোথায় ছিল?
রাজ্যপাল রবিবার বলেছিলেন, তিনি এমজিএনআরইজিএ কাজ থেকে বঞ্চিতদের সাথে দেখা করবেন এবং তাদের অভিযোগগুলি নয়াদিল্লির কাছে উত্থাপন করবেন। উল্লেখ্য, এদিন রাজভবনের বাইরে তৃণমূলের চলমান অবস্থান ধর্মঘটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানতে চেয়ে মুখ্যসচিব এই কে দ্বিবেদীকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সমালোচনা অব্যাহত রেখে অভিষেক বলেন, আপনি বিজেপির রাজ্যপাল নন। আপনি বাংলার রাজ্যপাল। অতীতে সাতবার বিজেপি রাজভবনের দিকে মিছিল করেছে। আপনি কি তখন পুলিশকে কোনো চিঠি লিখেছিলেন? না। সুতরাং, আপনি কেন চান যে জব কার্ডধারীরা, যারা বঞ্চিত, তারা এই জায়গা থেকে দূরে সরে যাক?
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct