সাদ্দাম হোসেন, জলপাইগুড়ি, আপনজন: তিস্তায় লাশের পাহাড়। দিনভর তল্লাশি চালিয়ে ২২ টি মৃতদেহ উদ্ধার করলো পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার কর্মীরা। এনডিআরএফ। সিকিমে হরপা বানে বিপর্যয়ের পর জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীতে মৃতদেহের ছড়াছড়ি। জলস্তর কমতেই একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তা পারে থাকা মাল থানা ,ময়নাগুড়ি থানা এবং সদর ব্লকের কোতোয়ালি থানা এলাকা মিলিয়ে মোট ২২ টি দেহ উদ্ধার করলো পুলিশ। এদিন উদ্ধারকাজে হাত লাগায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার কর্মীরা, সিভিল ডিফেন্স ও পুলিশ কর্মীরা। দেহ গুলিকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, দেহ গুলির মধ্যে সেনা কর্মীদের দেহের পাশাপাশি সাধারন মানুষের দেহ রয়েছে। কিছু দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
জলপাইগুড়ি জেলাশাসক শামা পারভিন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ১৮টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার তল্লাশি চালিয়ে আরও ৪টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত অনেক দেহের নাম পরিচয় জানাগেছে যায়নি। আমরা মৃতদেহগুলি মর্গে পাঠিয়েছি।শুক্রবার জলপাইগুড়ির তিস্তা নদী সংলগ্ন দাস পাড়া এলাকা থেকে দুটি মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। সুত্র মারফত জানা যায়, দুটি মৃতদেহের মধ্যে একটি মৃত দেহ পুরুষের বয়স আনুমানিক ৬০ বছর এবং একটি মৃতদেহ মহিলার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর।জলপাইগুড়ি পৌরসভার এমসিআইসি স্বরূপ মন্ডল বলেন, আজকে আমরা দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি আরো মৃতদেহ রয়েছে বলে মনে হচ্ছে আমরা আবারও তল্লাশি চালাবো।অপরদিকে এনডিআরএফ এর কমান্ডার হারদীপ চৌধুরী জানান, আজকে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা থেকে আমাদের বিকেল বেলা খবর দেওয়া হয় যে তিস্তা অনেক গুলি দেহ রয়েছে। আমরা এসে দেখি ইতিমধ্যে সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশ দেহ উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে, আমরাও গিয়ে কাছে হাত লাগাই প্রায় চার ঘন্টার পরিশ্রমের পর আমরা দেহগুলি উদ্ধার করি। কাল সকালে আমরা আবার উদ্ধারকার্য শুরু করব।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct