আপনজন ডেস্ক: গত চার দশকের বেশি সময় ভয়াবহ দাবানলের সঙ্গে লড়াই করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা। ২০২১ সালে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং বিধ্বংসী দাবানলের স্বাক্ষী হলেন রাজ্যের বাসিন্দারা। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্রমে আরও উত্তপ্ত ও শুষ্ক হয়ে উঠা ক্যালিফোর্নিয়ায় পুড়ে ধ্বংস হয়ে যায় তিন হাজার ৮৮৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা। সময়মতো বৃষ্টি আসায় ভয়াবহতা থেকে বেঁচে যায় মানুষ। পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে এক হাজার ২১৪ বর্গকিলোমিটার পুড়ে যায়। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত মৃদু দাবানলে পুড়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার একর অঞ্চল। দুই দশকে এই অঙ্গরাজ্যে কমপক্ষে ২০টি বড় দাবানলের ঘটনা ঘটে। উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৮ সালের নভেম্বরে ক্যাম্প ফায়ার নামের দাবানলে ৮৫ জন মারা যান। ওই দাবানলে সেখানকার প্যারাডাইস নামের শহরটি পুরো ভস্মীভূত হয়ে যায়। ক্যালিফোর্নিয়ার বনাঞ্চল ও দাবানল প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মরা গাছ ও শুকনো লতা-গুল্মের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। তারা শুষ্ক ও মরা গাছ সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি লতা-গুল্ম, যার মাধ্যমে আগুন এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, বিলীন করতে নতুন পন্থা ব্যবহার করছে। তারা জানিয়েছে, দাবানলের হাত থেকে বাঁচতে ছাগলের শরণাপন্ন হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার নেভাডা সিটি কর্তৃপক্ষ। কারণ ছাগল শুকনো পাতা, ঘাস, গুল্ম, ঝোপঝাড় ও ছোট গাছ খেয়ে বনের আগুন ছড়ানো ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই প্রাণী শরীরের ওজনের প্রায় ৯ শতাংশ পর্যন্ত খেতে পারে। ঠিক এ বিষয়টিই কাজে লাগিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নেভাডা সিটির ভাইস মেয়র সেনাম বলেন, গত ডিসেম্বর থেকে তারা ‘গোট ফান্ড মি’ নামের একটি তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছেন। মূল শহরের মধ্যেই সাড়ে ৪০০ একর বনাঞ্চল রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct