আপনজন ডেস্ক: গত ২২ শে আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্য সরকার দুর্গাপূজা আয়োজনের জন্য রাজ্য জুড়ে ৪৩,০০০ ক্লাবের প্রত্যেককে ৬০,০০০ টাকা (গত বছরের চেয়ে ১০,০০০ টাকা বেশি) অনুদান দেবে। সেই খবরে আনন্দের সুবাতাস বইলেও অবশেষে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর কোনও ক্লাবকে সরকারি অনুদান দেওয়া হবে না। নবান্ন সূত্রে খবর, ক্লাবগুলির প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর নারাজ হওয়ার পিছনে অনুদান পেয়ে ক্লাবগুলি কোনও হিসাব না দেওয়াই প্রধান কারণ। তবে, এই অনুদান দেওয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয় যখন কলকাতা হাইকোর্টে এক পুজো কমিটির দায়র করা মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্য সরকারের অনুদান প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, আমি অনেক মামলা শুনেছি, যেখানে মানুষ বেতন পাচ্ছেন না, চাকরি পাচ্ছেন না, পেনশন পাচ্ছেন না। আর পুজো কমিটিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। সেই মন্তব্যের কয়েকদিন পর রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলিকে আর অনুদান না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, রাজ্য সরকার শর্ত দিয়েছিল, যে সব ক্লাব সংগঠন এই অর্থ নিচ্ছে, তাদের খরচের হিসাব (ইউটিলাইজ়েশন সার্টিফিকেট) জমা দিতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্লাবই সেই হিসাব জমা দিতে পারেনি। মূলত সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরের বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ক্লাবগুলির পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য প্রথম বছরে এককালীন ২ লাখ টাকা দেওয়া শুরু করে।
পরবর্তী ৩ বছর ১ লাখ করে মোট পাঁচ লাখ টাকা পেত। যদিও কোভিড পর্বে, ২০২০ সাল থেকে এই প্রকল্পে অর্থ দেওয়ার কাজ স্থগিত রাখা হয়। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, এই অনুদান আর দেওয়া হবে না। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রথম বছর ৭৮১টি ক্লাব এই অনুদান পেয়েছিল। সেই খাতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। পরের বছর ১৫০০ ক্লাবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার জন্য রাজ্য সরকারকে অতিরিক্ত ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হয়েছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct