আপনজন ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শনিবার বলেছেন, তাঁর দল কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে দেশের অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর (ওবিসি) মানুষের সঠিক সংখ্যা জানার জন্য জাতিভিত্তিক আদমশুমারি করা হবে। মধ্যপ্রদেশের শাজাপুর জেলার কালাপিপাল বিধানসভা কেন্দ্রে এক জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
রাহুল বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর পরই আমরা প্রথম যে কাজটি করব তা হল দেশে ওবিসিদের সঠিক সংখ্যা জানার জন্য জাতিভিত্তিক আদমশুমারি করা, কারণ তাদের সঠিক সংখ্যা কেউ জানে না।
তার দাবি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সচিব-সহ মাত্র ৯০ জন আধিকারিক দেশ চালাচ্ছেন, অথচ দেশের নীতি ও আইন প্রণয়নে বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কদের কোনও ভূমিকা নেই। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র তিনজন অফিসার ওবিসি থেকে এসেছেন। ভারতের ৪,৫০,০০,০ কোটি টাকার বাজেটে ওবিসি অফিসারদের অংশগ্রহণ মাত্র ৫ শতাংশ। অথচ ভারতে ওবিসি জনসংখ্যা ৫০ শতাংশ।
তিনি বলেন, জাতিগত আদমশুমারি ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কটা ওবিসি আছে? তাদের অংশগ্রহণ কেমন হওয়া উচিত? আমি যখন জাতিগত আদমশুমারির প্রশ্ন উত্থাপন করি, তখন বিজেপির লোকেরা কাঁপতে শুরু করে। নরেন্দ্র মোদী পালাতে শুরু করেন। অমিত শাহ (কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) হিন্দু-মুসলিম করবেন।
রাহুলের অভিযোগ, আরএসএস এবং আমলারা নির্বাচিত বিজেপি সদস্যদের পরিবর্তে আইন প্রণয়ন করছে। মধ্যপ্রদেশকে দেশে দুর্নীতির ‘কেন্দ্রস্থল’ আখ্যায়িত করে রাহুল বলেন, ‘ব্যাপমের মতো কেলেঙ্কারি রাজ্যকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। এমবিবিএস ডিগ্রি বিক্রি হচ্ছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও বিক্রি হচ্ছে, মহাকাল লোক করিডোর নির্মাণে দুর্নীতি হচ্ছে। তাঁর দাবি, গত ১৮ বছরে ১৮ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।
তার মানে রাজ্যে প্রতিদিন তিনজন কৃষক আত্মহত্যা করছেন।
রাহুল বলেন, আদানি এবং মহিলাদের সংরক্ষণ নিয়ে রাহুল বলেন, সরকারের উচিত জনগণের জন্য চলা। কোনও সংস্থা বা এক বা দু’জন বড় শিল্পপতির জন্য নয়। আমি সংসদে আদানির বিষয়টি উত্থাপন করেছি। আমি বক্তব্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আদানির সুরক্ষার জন্য বিজেপি আমার লোকসভা সদস্যপদ বাতিল করে দেয়। আদানি বিমানবন্দর, অবকাঠামো থেকে শুরু করে ধানের সাইলো পর্যন্ত সর্বত্র দেখা যাবে। তারা প্রতিদিন কৃষক ও মানুষের পকেট থেকে টাকা নিচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct