সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: কলকাতায় ৭৫ টি শৌচালয় তৈরি করার জন্য কিছু জায়গায় চিহ্নিত করা হয়েছিল। যেখানে আমরা জায়গায় পাচ্ছি না সেখানে মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা করেছি। ১১ টি জায়গা আমরা পেয়েছি। শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় শহরে শৌচাগার নতুন করে তৈরি করা প্রসঙ্গে এ কথা জানান মেয়ার ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন,পৃথক মহিলাদের শৌচালয় করছি। আমরা অফিসে এলাকা, পার্কিং এবং বাস স্ট্যান্ডে বাস টয়লেট রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বিভিন্ন ডিজাইনের শৌচালয় তৈরি করছি। অনেক জায়গায় বাস টয়লেট এবং ফিডিং রুমের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। বিশেষ করে হাসপতালে বাস টয়লেট রাখা হচ্ছে। আমরা ৭৫ টি টয়লেট করছি। মহিলাদের জন্য আলাদা শৌচালয় করা হচ্ছে। আপাতত দুটি বাস টয়লেট রয়েছে ।আরো কিছু বাস নামানো হবে বলে আশ্বাস দেন মেয়র।রাস্তা নিয়ে মেয়রের মন্তব্য, কিছু জায়গায় রাস্তা ভালো হয়েছে। আবার কিছু জায়গায় দাঁত বের করে রয়েছে রাস্তা। প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সময় মাস্টিক করে রাস্তা হত। তখন রাস্তা ১০ বছর অবধি চলত। কিন্তু এখন রাস্তা বেশি দিন বর্ষায় টেকে না। আমরা এখন মেকানিকাল মস্টিক করার চেষ্টা করছি। কিন্তু সেটা বড় রাস্তায় হতে পরে। এখন ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বকশি বাগানে দেখা গেল যে গতদুবছর প্লাস্টিক রাস্তা ভালই ছিল। তাই আমরা প্লাস্টিক রাস্তা করার চেষ্টা করছি। তবে মেকানিকাল মাস্টিক করা হবে। তবে পুজোর আগে রাস্তা সারানোর কাজ হবে। তবে পুজোর পর মেকানিকাল মাস্টিকের মাধ্যমে করা হবে। প্লাস্টিকের রাস্তায় খরচ কম হবে। ডেঙ্গু প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়রের মন্তব্য,ডেঙ্গু কিছুটা কমেছে। যে ভাবে বাড়ছিল সেটা একটু নেমেছে। জল কোথায় জমছে সেটা দেখা হচ্ছে। সমস্ত কাউন্সিলরদের বলেছি যে শনিবার এবং রবিবার যাতে সচেতন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।কেন্দ্রের চিঠি নিয়ে তিনি বলেন যে ,বাংলায় রক্তদানের কর্মসূচি অনেক হয়। কেন্দ্রীয় সরকার কি বলছে আমি তাতে যাব না। আমরা সচেতন আমরা মুকাবিলা করছি।
আমার কাছে কেন্দ্রীয় সরকার কি করছে তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। এটা সহজ যে একটা চিঠি দিলাম। সমালোচনা করে দিলাম এটা সহজ। কিন্তু রাস্তায় নেমে কাজ করা অনেক কঠিন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী থেকে আমাদের রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী অনেক সচেতন বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আমি স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের স্বাস্থ্য দফতর সকাল ৮ থেকে চালু হয়ে যায়। আমাদের স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিতে সম্পূর্ন ভাবে পরিষেবা প্রদান করছে। বিশেষ করে করোনা সময় কলকাতা পৌর সংস্থার চিকিৎসা কেন্দ্র অনেক ভালো কাজ করেছে।১২৭ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘ দিন ধরে জল জমে রয়েছে। সেখানে জল জমে না। সেখানে কৃষি জমি আছে। সেখানে ময়লা ফেলা হয়। রাস্তার মধ্যে পচা জলে ডেঙ্গি হয় না। ছাদে জল জমায় ডেঙ্গি হবে।ভয় পেয়েছে কি করবে। ভয় পাচ্ছে করছে। মোদী ভয় পাচ্ছে। বিজেপি এইরকম সিদ্ধান্ত নেয় যাতে মানুষ হাসে। ইন্ডিয়া নাম হয়েছে বলে ভারত করতে হবে। এইগুলো বালখিল্য। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে ইডির নোটিশ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন,৩ তারিখে তাকে ডাকতে হবে। যেদিন সমন্নয় বৈঠক আছে ।সেদিন ডাকতে হবে। প্রতিহিংসার কারণে বাপ মা কে ছাড়ছে না। এই প্রতিহিংসায় আগে কোনো দিন ছিল না।অভিষেক টুইট নিয়ে ঠিকই তো বলেছে । আমাদের সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িত । আমরা ১০০ দিনের কাজে বকেয়া চাইবো না।সৌরভক গাঙ্গুলী প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, একজন বাঙালি কিছু করলেই ঈর্ষা হয়। পাগল কি না বলে ছাগলে কি না খায়। ওদের কুকথা বললে তাদের অমিত শাহ কাছে নম্বর বাড়ে । কিন্তু এখানে বাংলার মানুষ তাদের শুন্য করে দিয়েছে।কংগ্রেস সেটিং সেটিং বলে নিজেরা শুন্য হয়ে যাচ্ছে। কেরেলে ইডি সিবিআই যা করছে। সেটা কে কি সি পি এম সমর্থন করে । রাহুল গান্ধী কে এবং রাজিব গান্ধী কে চোর চোর বলেছে সেটাকে কি কংগ্রেস সমর্থন করে ?জবাব দিক ।পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ফিরহাদ হাকিম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct