আপনজন ডেস্ক: দিল্লিতে গত বুধবার একযোগে নির্বাচন নিয়ে ২২ তম আইন কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠক হয়। আইন কমিশন বলেছে, তারা রাজ্য বিধানসভার মেয়াদ বৃদ্ধি বা হ্রাস করে সমস্ত বিধানসভা নির্বাচন একযোগে করার একটি ফর্মুলা নিয়ে কাজ করছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সাথে সব রাজ্যের নির্বাচনও হতে পারে। কমিশন স্বীকার করেছে, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন বাস্তবায়ন হলে অনেক অর্থ সাশ্রয় হবে। এ জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন মনে করে, প্রয়োজনে সময় দেওয়া হলে এ ধরনের নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে পারে।প্রক্রিয়া অনুসারে, আইন কমিশনের সমস্ত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া হয়। সেখান থেকে রিপোর্ট পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। তবে ওয়ান নেশন-ওয়ান ইলেকশন নিয়ে কমিশনের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। ওয়ান নেশন-ওয়ান ইলেকশন বাস্তবায়নের জন্য আরও আলোচনার প্রয়োজন৷ ২২তম আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি বলেছেন, এই বিষয়ে এখনও কাজ চলছে। প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার আগে আরও কয়েকটি বৈঠক করতে হবে। কিছু সংবিধান সংশোধন এই প্রক্রিয়াকে সহজ ও কার্যকর করবে বলে মনে করে কমিশন। সুবিধা হবে যে জনগণ তাদের নেতাদের নিজেদের বিবেচানর সাথে বেছে নেবে। কারণ দুটি নির্বাচনের মধ্যে অনেক সময় থাকবে। তাই মানুষ শুধু বিপুল সংখ্যায় বের হবে না, খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ভোট দেবে।বর্তমানে, কমিশনের কাজ হল বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন একই সাথে করার উপায়গুলি সুপারিশ করা।সরকার ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে, এর একটি সভা ইতিমধ্যেই হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ওয়ান নেশন-ওয়ান ইলেকশনের জন্য ৪সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। এর চেয়ারম্যান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ২৩ সেপ্টেম্বর দিল্লির যোধপুর অফিসার্স হোস্টেলে অনুষ্ঠিত কমিটির প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এই বিষয়ে স্বীকৃত জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলির মতামত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পরামর্শ দিতে আইন কমিশনকেও ডাকা হবে। উল্লেখ্য, আইন কমিশনের এই কমিটিতে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরিকে রাখা হলেও তিনি থাকেননি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct