আপনজন ডেস্ক: বাড়িতে ঘি তৈরির চল এখন অনেকটাই কমে এসেছে। অনেক সময়েই ঘি কেনা হয় বাজার থেকে। কিন্তু এখনও কিছু অসাধু ব্যক্তির চক্রান্তে চলছে ভেজাল ঘিয়ের ব্যবসা। বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ ঘি এরমধ্যেই ডালডা মেশানো থাকে। কিছু ক্ষেত্রে পাম তেলও থাকে। সঙ্গে থাকে কৃত্রিম রং। গন্ধের জন্য কিছুটা ঘি মিশিয়ে দেওয়া হয়। অনেক সময়ে মহিষের দুধের ঘিয়ে রং মিশিয়ে গরুর দুধের ঘিয়ের মতো রূপ দেওয়া হয়। কখনো কখনো এমন রং ব্যবহার করা হয়, যা আদৌ ভোজ্য নয়। ঘিয়ের মধ্যে দানা তৈরি করার জন্যও নানা ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয়। খাঁটি ঘি চেনার সহজ একটি উপায় রয়েছে। কিছুটা ঘি হাতের তালুতে নিয়ে পরীক্ষা করা যেতে পারে। ঘি বিশুদ্ধ হলে হাতের তালুর তাপেই কিছুক্ষণ পর তা গলে যাবে। আবার কিছুক্ষণ ওনুনের সামনে ঘিয়ের বোতল রেখেও গলাতে পারেন। ঘি যদি গলতে সময় নেয় কিংবা রং হলুদ হয়ে যায়, তবে বুঝতে হবে ঘি খুব একটা খাঁটি নয়। চাইলে আরও একটি পদ্ধতি অবলম্বন করে ঘি পরীক্ষা করা যায়। একটি বোতলে ঘি গলিয়ে নিন প্রথমে। তার পর বোতলটি তুলে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। যদি দেখেন গোটা বোতলে জমাট বাধা ঘি একই রঙের তবে বুঝতে হবে ঘি খাঁটি। মনে রাখতে হবে, ঘিয়ে ভেজাল থাকলে আলাদা আলাদা স্তরে আলাদা আলাদা রং থাকবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct