জিয়াউল হক, চুঁচুড়া, আপনজন: অর্থ তছরুপের ও প্রতারণার দায়ে আসানসোলের সালামপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ন ফাড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হল হুগলির অর্থ তছরুপের দায়ে অভিযুক্ত সুব্রত দাস(শিবু) নামক এক ব্যক্তি। বাড়ি হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের শরৎপল্লী এলাকায়, প্রশাসন সূত্রে জানা যায় ২০১১ সালের আগে থেকে সুব্রত “হুগলি এগ্রোটেক” নামক একটি চিট ফান্ড চালাতেন, । ২০১০ সালে তিনি “হুগলি এগ্রোটেক” সংস্থার মাধ্যমে অর্থ তছরূপের দায়ে বাড়িথেকে ফেরার হয়ে যায়, তারপর পুলিশ বিভিন্নভাবে তাকে সন্ধান করলে কোন রকম হদিশ মেলেনি তার, তবে সূত্র মারফত জানা যায় ২০১৮ সালে সেবির তরফ থেকে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। পুলিশ তাকে তারপর থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু করার পরও কোন রকম ভাবে সন্ধান করে উঠতে পারিনি তার। চুঁচুড়া থানার এস.আই অনিমেষ হাজারীর কাছে ৬ মাস আগে এই নির্দেশিকা আসার পর তিনি তৎপরতার সঙ্গে তদন্তে নামেঞ, সুত্র মারফত খবর পেয়ে গত ১৬ তারিখ ভোরে আসানসোলের সালেমপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণ ফাড়ির একটি ভাড়া বাড়ি থেকে সুব্রত দাস কে গ্রেফতার করে।প্রশাসন সূত্রে খবর সাধারণ মানুষের প্রায় ১০০ কোটি টাকা অর্থ তছরুপের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। গত ১৬ তারিখ গ্রেফতার করার পর সেদিনই তাকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে, মহামান্য আদালতের নির্দেশে (SEBI)সেবির হাতে পরবর্তী তদন্তের জন্য তুলে দেওয়া হয় সুব্রতকে। প্রশাসনের সূত্রে জানা যায় তিনি অনেকবার পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা তথা কলকাতার ৪ থেকে ৫ জায়গায় বসতি করে বিভিন্ন সময় গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে এসেছেন। সুব্রত দাসের স্ত্রীর নামেও রয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে, তার স্ত্রী এখনও পলাতক। তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের জন্য খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ব্যান্ডেল শরৎপল্লীর বাড়িতে এখন তার বৃদ্ধা থাকেন ,মা জানান আমার সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই,আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন চার নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি সঞ্জয় পাল জানান এই ঘটনা শুনে আমি স্তম্ভিত। আমি ওয়ার্ড এর জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে থেকেই তিনি এখানে থাকেন না। স্থানীয় চুঁচুড়া থানার পুলিশ আমার কাছে তার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা অনেকবারই করেছে, আমি কিছু বলতে পারিনি। এখন সংবাদমাধ্যমের কাছে শুনে আমি হতবাক। সঞ্জয় বাবু বলেন আমি তৎকালীন সময় শুনেছিলাম তিনি কোন একটি পাবলিক ফান্ড চালান। কিন্তু এখন বর্তমানে সুব্রত দাস গ্রেপ্তারের পর আমি হতবাক যে তিনি এই সব সাধারণ মানুষের অর্থ প্রতারণার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct