মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: কাঞ্চননগর ডি এন দাস উচ্চ বিদ্যালয় মহাসামরহে বিদ্যাসাগরের ২০৪ তম জন্ম দিবস পালন উপলক্ষে আবক্ষমূর্তির উন্মোচন করা হয়। আবক্ষমূর্তির উন্মোচন করেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার, বর্ধমান মহিলা থানার আইসি বনানী রায়, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তপো প্রকাশ ভট্টাচার্য, বর্ধমান পৌরসভার তিন কাউন্সিলার তথা স্কুলের সভাপতি মানিক দাস, শাহাবুদ্দিন খান ও ডক্টর ইন্তেখাব আলম। সমগ্র অনুষ্ঠানটির মূল ব্যবস্থাপনায় ছিলেন দিননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তথা জাতীয় শিক্ষক ডক্টর সুভাষচন্দ্র দত্ত। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অতিথিরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবন নিয়ে আলোকপাত করেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনের শেষ কুড়িটি বছর বর্ধমান ও ঝাড়খণ্ডের কারমাটার স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এক সময় মহামারীতে বর্ধমানে হসপিটাল তৈরি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। গোটা রাজ্যের সঙ্গে বর্ধমানের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদ্যাসাগরের নাম চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বর্ধমানে অনেকগুলি বিদ্যালয় ও নারী শিক্ষার জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিধায়ক খোকন দাস ও তপো প্রকাশ ভট্টাচার্য বিধবা বিবাহ প্রচলনের বিদ্যাসাগরের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও বর্ধমানের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উপস্থিত হয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রথমে উদ্বোধনী সংগীত ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষচন্দ্র দত্ত বলেন বিদ্যাসাগরকে বাদ দিয়ে শিক্ষা কখনো সম্পূর্ণ হতে পারে না। বিদ্যাসাগর আমাদের পাথর স্মরণীয় ব্যক্তি। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্কুলের শিক্ষক শামীম সাহেব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct