মোহাম্মাদ সানাউল্লা, লোহাপুর, আপনজন: পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পদ নিয়ে ফের তৈরি হল তুমুল বিতর্ক। মঙ্গলবার বেলা ১২ টা নাগাদ নলহাটি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ৯টি কর্মাধ্যক্ষের আসন বন্টনের আগে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নিজেদের মধ্যে শুরু হয় বিতর্ক। কারণ কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনের আগে ঘরে বসে নিজেদের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছিল। সে সময় কৃষি দপ্তরে চন্দ্রানি দত্তর নাম শুনেই ঝগড়া করে ঘর থেকে বেরিয়ে যান নগোরা গ্রামের নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য আসগার আলী। তিনি দাবি করেন, তাকে কৃষি দপ্তরে দিতে হবে। যদিও দল তার নাম জন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত করেছেন। তিনি এই জন স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পদে নিজেকে মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি ঘর থেকে ঝগড়া করে বেরিয়ে পড়েন। বাইরে বেরিয়ে প্রকাশ্যে এসে তীব্র প্রতিবাদে গর্জে ওঠে জন সমক্ষে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেখানে তাকে কোন রকমে থামানোর জন্য তৃণমূল কর্মীরা বারবার অনুরোধ করে ঘরের ভেতর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন অনুরোধে আসগার আলী তার দল থেকে দেওয়া জন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ পদটিকে মেনে নেন। অপর দিকে বিদ্যুৎ ও শিক্ষা দপ্তরের কেবল মাত্র উজ্জ্বল লেটকেই দুটি কর্মাধ্যক্ষের আসনে বসানো হয়। পূর্ত দপ্তরে দায়িত্ব দেওয়া হয় মেহেবুব রহমানকে, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন গৌতম মন্ডল। বন ও ভূমি দপ্তর দপ্তরে শাহিনা খাতুন, কৃষি দপ্তরে চন্দ্রিনী দত্ত, শিশু ও নারী জন কল্যাণে হাসমতারা, খাদ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন খুশিনা বিবি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct