আজিম শেখ, বীরভূম, আপনজন: পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে বাংলা পক্ষ সংগঠন বিগত ২০১৮ সাল থেকেই এই দিনটিকে বাঙালির জাতীয় শিক্ষক দিবস রূপে পালন করে আসছে। বিশিষ্ট বাঙালিদের সাক্ষর সহ একটি চিঠি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও পৌঁছে দিয়েছে বাংলা পক্ষ। চিঠিতে আবেদন করা হয়েছে যাতে এইদিনটিকে বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণা করা হয় ও সংসদে বাংলার প্রতিনিধিরা এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয় শিক্ষক দিবস করার দাবি উত্থাপন করেন। বাঙালি বিরোধী, হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী, রবি ঠাকুরের আদর্শ বিরোধী শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলায় আক্রান্ত বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। তাঁকে বীরভূম জেলা বাংলা পক্ষর তরফে “বিদ্যাসাগর জাতীয় শিক্ষক সম্মাননা” য় ভূষিত করা হয় বোলপুরে। উপস্থিত ছিলেন, বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, বীরভূম জেলার পর্যবেক্ষক তন্ময় গড়াই, বীরভূম জেলার নেতৃত্ব রামকৃষ্ণ সাহা, রনি ঘোষ, সোমনাথ সাহা, শফিকুর সহ অন্যান্যরা।কৌশিক মাইতি বলেন, “আমরা সুদীপ্ত বাবুকে সম্মান দিতে পেরে গর্বিত। সুদীপ্ত বাবুরাও এগিয়ে চলুন। বিশ্বভারতীর স্বার্থে বাংলা পক্ষ সব সময় লড়বে।”অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “২৬ শে সেপ্টেম্বর, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন হওয়াকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি। ৫ ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। তাই বাংলা পক্ষর এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি।আমরা বাঙালি হিসাবে আক্রান্ত হচ্ছি। বিশ্বভারতীর উপাচার্য ক্রমাগত বাঙালিকে আক্রমণ করে চলেছেন। আমরা জাতি হিসাবে আক্রান্ত হলে আজ আমাদের বাঙালি হিসাবে রাস্তায় নামার সময় এসেছে।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct