আপনজন ডেস্ক: কেন্দ্রের তহবিল আটকে রাখার বিরুদ্ধে অক্টেবারের প্রথম সপ্তাহে দিল্লিতে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার আগে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে এমজিএনআরইজিএ সুবিধা বঞ্চিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫০ লক্ষেরও বেশি চিঠি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পাঠাবে।বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন (এমজিএনআরইজিএ) এবং গ্রামীণ আবাস যোজনার আওতায় বাংলার ১৫,০০০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। তৃণমূল কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকেও চিঠি পাঠাবে।এ ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে (এক্স) লিখেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ ঐক্যবদ্ধ, আমাদের অধিকার দাবি করতে বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্রে জনগণের শক্তি সর্বাধিক রাজত্ব করে। বাংলার মানুষ ‘অন্যায়ের’ বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন এবং যারা বিরূপভাবে প্রভাবিত হয়েছেন তারা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তাদের ন্যায্য পাওনা দাবি করেছেন।
অভিষেক এ প্রসঙ্গে বলেন,এমজিএনআরইজিএ-র আওতায় কাজ করার পরেও যারা এখনও তাদের পাওনা পাননি, তারা এই চিঠিগুলি লিখতে পারেন। এখন পর্যন্ত আমরা ৫০ লক্ষেরও বেশি চিঠি সংগ্রহ করেছি। তারা সকলেই গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় বাংলার পাওনা টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আমরা এই চিঠিগুলি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের দফতরে পাঠাচ্ছি।মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে আগামী ২ অক্টোবর রাজঘাটে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক ও জেলার নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাতে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সম্প্রতি স্পেন ও দুবাই সফরের সময় বাম হাঁটুতে চোট পাওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ১০ দিনের বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়ায় নয়াদিল্লিতে এই অনুষ্ঠানে যোগদান নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।এ বিষয়ে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল ৩ অক্টোবর মনমোহন সিং-এর সঙ্গে দেখা করবে এবং এমজিএনআরইজিএ-র আওতায় ‘বকেয়া পরিশোধ না করার’ বিষয়টি তার সামনে তুলে ধরবে। গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় বাংলায় পাওনা আদায়ের জন্য নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা করেছিল টিএমসি। রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের দাবি, দিল্লি পুলিশের কাছে একাধিকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা জাতীয় রাজধানীতে বিক্ষোভ করার অনুমতি পায়নি।গত ৩০ আগস্ট তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছিল, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ‘বাংলার কণ্ঠরোধ করতে চায়’ বলেই নয়া দিল্লিতে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গত ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, এমজিএনআরইজিএ এবং অন্যান্য প্রকল্পের আওতায় বাংলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল আটকে দেওয়ার অভিযোগের বিরুদ্ধে ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করবে দলটি। এমজিএনআরইজিএ এবং অন্যান্য কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য রাজ্যকে “তহবিল না দেওয়ার” কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এই বছরের মার্চ মাসে মুখ্যমন্ত্রী দু’দিনের অবস্থান ধর্মঘট করেছিলেন। মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট ২০০৫-এর লক্ষ্য হল গ্রামীণ এলাকার পরিবারগুলির জীবিকার নিরাপত্তা বাড়ানো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct