আপনজন ডেস্ক: শিক্ষাকেন্দ্রে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের ঘটনা আবার ঘটল যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। কিছুদিন আগে এক স্কুল শিক্ষিকা এক মুসলিম ছাত্রকে তার সহপাঠী অমুসলিম ছাত্রদের মারতে নির্দেশ দিয়ে বিদ্বেষমূলক কথা বলেছিলেন। তার নিয়ে দেশুজুড়ে ব্যাপক হইচই হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবার সাম্প্রদায়িকে বিদ্বেষের সম্মুখীন হতে হল নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের।উত্তর প্রদেশের বাহারাইচ শহরের একটি স্কুলে নবম শ্রেণির হিন্দি প্রশ্নপত্রে ‘ভারতীয় মুসলিম সন্ত্রাসবাদ’ নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয়। তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলের প্রশ্ন পত্রে মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদ বিষয়টি উঠে আসার খবর মুসলিম পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের জানালে ব্যাপক ক্ষোভের িসঞ্চার হয়। এ ধরনের বিদ্বেষমূলক প্রশ্নপত্রে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন মুসলিমরা। মুসলিমদের একটি দল এই প্রশ্নপত্রের প্রতিবাদ জানাতে স্কুলে যায়। তারা প্রতিবাদে সরব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। তাদের ক্ষোভ প্রশতি করতে যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, প্রশ্নপত্রে ‘মুসলিম’ শব্দটি অজান্তেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। প্রশ্নপত্র প্রস্তুতকারী হিন্দি শিক্ষককেও বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল ম্যানেজমেন্ট। সেই সঙ্গে ওই পরীক্ষা বাতিল করা হয়। হিন্দিতে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে একটি অনুশীলনীতে অনুচ্ছেদ তুলে ধরে তা থেকে প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়। অনুচ্ছেদের একটি বাক্যে বলা হয়, এটি এমন একটি মতাদর্শের অংশ যেখানে ভারতীয় মুসলিম সন্ত্রাসবাদ, লস্করএ তৈয়বা, আল কায়েদা, তালেবান এবং ইসলামী রাজনীতির বিভিন্ন সংগঠন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অনুচ্ছেদে আরও বলা হয়েছে যে জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি ভারত সরকারকে অবশ্যই পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে মুজাফফরনগর জেলার খুবাপুর গ্রামের একটি বেসরকারি স্কুলে মুসলিম ছাত্রকে চড় মারার ঘটনায় বিরোধী দলগুলি সরব হয়েছিল।কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, এআইএমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি এবং সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব সহ বিরোধী নেতারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এর জন্য দেশে বিষাক্ত পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টাকে দায়ী করেছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct