আপনজন ডেস্ক: পাকিস্তানে কারাবন্দি বিরোধী দলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বাদ দিয়েই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার।সম্প্রতি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৩ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। আরো শতাধিক মামলা ঝুলছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে ইসলামাবাদের অ্যাটক কারাগারে তিনি বন্দি। এমন বাস্তবতায় তার নির্বাচনে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে আসছে।সাধারণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী কাকার বলেছেন, ‘ইমরান খানকে কারাবন্দী না করেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। যারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন তারা এখনও হাজতে।’গত ৯ মে দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে জ্বালাও-পোড়াও এবং ভাঙচুর চালায় তার সমর্থকরা। বাদ যায়নি সেনাবাহিনীর স্থাপনাও। সহিংতায় জড়িত থাকায় অনেক সমর্থককে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের সামরিক আইনে বিচারের আওতায় আনার কথা শোনা যায়। ৯ মে’কে ‘অন্ধকার দিন’ অ্যাখ্যা দেশটির সরকার।সাক্ষাৎকারে কাকার বলেন, ‘যারা ওইদিন সহিংসতায় জড়িত ছিল তারা সাজাভোগ করছেন। তবে এসব ঘটনায় সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি তাদের আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই।’পিটিআই ক্ষমতায় যেন ফিরে না আসে, তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এমনকি আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কারসাজি হতে পারে এমন গুঞ্জন বাতাসে ভাসছে। এসব প্রশ্নে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি এই খবরটি একেবারেই অযৌক্তিক। ইসিপি নির্বাচন পরিচালনা করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও পর্যবেক্ষণে থাকবে।’২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন হতে যাচ্ছে বলে গেল সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct