নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: টানা চার দিনের বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে এলাকা। গৃহহীন হয়ে পড়েছে ১০ টি মুসহর সম্প্রদায়ের দিনমজুর পরিবার। এই অবস্থায় কোথায় গিয়ে আশ্রয় নিবেন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই গৃহহীন পরিবারগুলি। অপরদিকে কাজকর্ম না করার কারণে পরিবার গুলিতে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। শুকনো ভাত ও খিচুড়ি খেয়ে কোনোরকমে দিনগুজরান করছে পরিবারগুলি। সরকারি সাহায্যের আশায় তীর্থের কাকের মত চেয়ে রয়েছেন পরিবারগুলি। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুমসাডাঙ্গি গ্রামের এই চিত্র। জানা গিয়েছে, গত চার দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে গ্রাম। ১০ টি মুসহর সম্প্রদায়ের পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়ির উঠানে প্রায় হাটু সমান জল জমে রয়েছে। বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেছে জল। বাচ্চা ও বৃদ্ধদের নিয়ে বড় সমস্যায় পড়েছেন পরিবারগুলি। সাপ-
পোকামাকড় বাড়িতে ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন তারা। অপরদিকে কাঁচা বাড়িগুলোতে ধরেছে ফাটল। বাড়িগুলি ধ্বসে পড়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে।অভিযোগ, জল নিকাশি না থাকার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ছে এই গ্রাম। রাস্তার নোংরা জল বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে। এই নোংরা জমা জলের কারনে নানা রোগ দেখা দিতে পারে। মূলত বর্ষা শুরুতেই এমন ঘটনা ঘটছে। জল নিকাশের কোনো ব্যবস্থা না হলে তাদেরকে এইভাবে বর্ষার জলে দিন গুজরান করতে হবে। সুফিয়া মুসহর নামে এক গৃহবধূ জানান, গত চারদিনের বৃষ্টির জেরে তাদের বাড়ি চারদিকে জল মগ্ন হয়ে হয়েছে। এক হাঁটু জল ভেঙে যাতাযাত করতে হচ্ছে। বাড়ির উঠানে জল উঠে গেছে। সাপ পোকামাকড়ের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। এই নিকাশের কোনো ব্যবস্থা না হলে এই জলেই তাদের দিন গুজরান করতে হবে। সরস্বতী মুসহর নামে এক গৃহবধূ জানান, তাদের পরিবারে শুরু হয়েছে চরম খাদ্য সংকট। চারদিক ধরে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। প্রশাসন তাদের কিছু দিয়ে সাহায্য করলে সপরিবারে একমুঠো খেয়ে বাঁচতে পারবেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় মুসহর জানান, ব্লক সভাপতি ও বিডিও কে তাদের দুর্দশার কথা জানিয়েছেন। শিঘ্রই তাদের ত্রান দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ব্লক প্রশাসন। পঞ্চায়েত সমিতির ব্লক সভাপতি তহমিনা খাতুন বলেন ‘আমি বিডিও ও এস ডি ও কে বিষয়টি জানিয়ছি। তাদের বাড়িতে দ্রুত ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসন।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct