মনিরুজ্জামান, বারাসত: বর্তমান সমাজে মানবিকতা যখন মানুষের মন থেকে প্রায় বিদায় নিতে বসেছে তখন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে পেশাগত তাগিদে হলেও সেবা করে গেলেন একজন ডাক্তার। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকের কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কলসুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডা. সুপ্রতীম রায় রোজকার মতোই বৃহস্পতিবারও রোগী দেখছিলেন। তখন খবর পান এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পুরনো জরাজীর্ণ আউটডোরের মধ্যে একজন মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন। ডাক্তারি পেশার তাগিদে সুপ্রতীম একজন সহকারীকে নিয়ে দেখতে ছুটলেন। দেখেন একজন মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন।এই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। পরনে একটা নোংরা ছেঁড়া ফাটা নাইটি।মাথায় উসকো খুসকো চুল। তার পায়ে আঘাতের চিহ্ন। চিকিৎসার অভাবে সেই আঘাতপ্রাপ্ত স্থান বিষিয়ে উঠেছে।অবিলম্বে ড্রেসিং করা দরকার।চিকিৎসার দরকার। কিন্তু সেই মহিলা ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করার জন্য কিছুতেই ডাক্তারকে হাত দিতে রাজি নয়।পরে সুপ্রতীম অনেক কষ্ট করে ক্ষতস্থান ড্রেসিং করে দেন।এই মহিলার জন্য সুপ্রতীম নিজে খাবার, জল কিনে এনে দেন।নিয়ে আসেন পেপার। সুপ্রতীম বলেন,বছর পয়তাল্লিশের ওই মহিলাকে আমি আমার মতো করে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছি এবং ওই মহিলার ঘটনাটি বি এম ও এইচ,দেগঙ্গা থানা এবং স্হানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকেও জানিয়েছি।ওই মহিলা তার নাম পরিচয় কিছুই বলতে পারছেন না।
সুপ্রতীম যেভাবে ওই মহিলাকে সেবা করলেন তাতে তাঁর মানবিক চেহারাটা আবারও প্রকাশ পেল।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct