জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া, আপনজন: ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ তথা কেন্দ্রীয় অন্তর্দেশীয় মৎস্য গবেষণা সংস্থা ছোটনাগপুর মালভূমির উপজাতীয় সম্প্রদায়ের সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা উন্নতিকরণের জন্য এবার সক্রিয়ভাবে পথ চলা শুরু করলো। জানা যায় পুরুলিয়া জেলার ভূমিপুত্র তথা মহানির্দেশক ডঃ হিমাংশু পাঠক,ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য দপ্তর এবং সেচ দপ্তরের ঐকান্তিক সহযোগিতায় পুরুলিয়ার পাঁচটি জলাধারে মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যমে এই জলাশয়ে মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা অধ্যয়ন ও পুনর্গঠনের সমীক্ষা চালিয়েছে মঙ্গলবার। সংশ্লিষ্ট উল্লিখিত জলাশয়ে মাছ ধরার কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে জড়িত উপজাতীয় মৎস্যজীবীদের সাথে পরিচয় মূলক আলোচনা করা গিয়েছে। যাতে তাদের সচেতন ও আত্মনির্ভরশীল করা যায়। ফলস্বরূপ তারা সহ-অংশগ্রহণ এর মাধ্যমে এই বাস্তুতন্ত্র থেকে অতিরিক্ত জীবিকা অর্জন করতে সক্ষম হবে বলে জানা যায়। কেন্দ্রীয় অন্তর্দেশীয় মৎস্য গবেষণা সংস্থা ব্যারাকপুরের নির্দেশক ডঃ বসন্তকুমার দাস মহাশয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ অরচন কান্তি দাস মহাশয়ের সক্রিয় যোগদানে পুরুলিয়া জেলার পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচটি জলাধার খয়রাবেড়া , মরগুমা,পাতলই, ফুটিয়ারী ও বড়ন্তি জলাধারে নিবিড় সর্বেক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এই জলাধার গুলোতে উপজাতি সমুদায় মৎস্যজীবীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আগামীতে এই জলাধার গুলির উৎপাদন ও উৎপাদকতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজ্ঞানীরা নিয়োজিত রয়েছেন। এই কাজে পাঁচটি ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক সক্রিয়ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় অন্তর্দেশীয় মৎস্য গবেষণা সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ অর্জন কান্তি দাস আরও বলেন, প্রতিটি জলাধারের আশে পাশের মৎস্য জীবীদের একত্রিত করে তাদের সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এবং টেকনিকাল সাপোর্ট এর মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করে জীবন জীবিকার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করা হবে। ভাসমান খাঁচার মধ্যে ডিম পোনা থেকে ফিঙ্গার লিঙ্ক মাছ প্রস্তুত করে জলাধারে ছাড়ার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে এই জনজাতির মানুষ তাদের জীবন জীবিকার মান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ঘটাতে পারে এর জন্য আমরা অদূর ভবিষ্যতেও সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct