আব্দুর রাজ্জাক
পার্কসার্কাস, কলকাতা
গত ১২ বছরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়নের বিশেষ তালিকা নিম্নরূপ:
১) ৬১৪টি মাদ্রাসা থেকে ৬১৫টি আর হল না।
২) আজ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা পর্য়দে নির্বাচন হয়নি।
৩) অধিকাংশ মাদ্রাসায় শিক্ষকের হার খুবই নগণ্য।
৪) সংখ্যালঘু মুসলিম শূন্য মাদ্রাসা হতে চলেছে, সংখ্যালঘু বঞ্চিত হচ্ছে।
৫) আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থাও শোচনীয়।
৬) আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু জমি চিত্তরঞ্জন হাসপাতালকে দেওয়ার জন্য ছক কষেছিল। ছাত্রদের আন্দোলনের ফলে বর্তমানে ঝুলে আছে।
৭) হিডকো-র পক্ষ থেকে রাজারহাট-নিউ টাউনের আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য পত্র দেওয়া হয়।
৮) বিগত বামফ্রন্ট সরকারের এসএসকে, এমএসকে মাদ্রাসাগুলো উঠে যাওয়ার পথে।
৯) ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধারের পরিবর্তে আরো বেহাত হতে চলেছে।
১০) পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন এটা দুর্নীতির আখড়া।
১১) বর্তমানে স্থায়ী ডিএমই নেই।
১২) কয়েক বছর এসিআর বা মাদ্রাসা ডেভেলপমেন্টের জন্য গ্রান্ট দেওয়া হচ্ছে না।
১৩) সংখ্যানুপাতে সংখ্যালঘুদের সরকারি সার্ভিস গত বামফ্রন্ট সরকারের থেকেও আরো খারাপ।
১৪) নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেনের রিপোর্ট অনুযায়ী মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা ব্যানার্জীর রাজ্যে মাদ্রাসা পর্ষদে কোনো চিঠি দিলে সেটি খুলে দেখার সময় হয় না অথবা যে কাজের জন্য চিঠি দেওয়া হয় সেটি কার্যকর ঠিকমতো হয় না। দিনের পর দিন অমীমাংসিত অবস্থায় পড়ে থাকে।
১৫) শিক্ষক ট্রান্সফার পদ্ধতি একটা বোকা বানানোর জাঁতাকল। যেমন একটি গ্লাসের জল অন্য একটি খালি গ্লাসে ঢেলে দেওয়া। যার ফলে সেই গ্লাসটি আবার খালি হয়ে যায়। অর্থাৎ যেইকার সেই।সংখ্যালঘু উন্নয়নের তালিকা দেখে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা ব্যানার্জীর উদ্দেশ্য কি হতে পারে প্রিয় বন্ধুরা চিন্তা করে দেখুন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct