আপনজন ডেস্ক: মহিলা সংরক্ষণ বিলকে ‘লজ্জা’ আখ্যায়িত করে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বুধবার সংসদে বলেছে, এর নাম পরিবর্তন করে ‘মহিলা সংরক্ষণ পুনঃতফসিল বিল’ করা উচিত। লোকসভায় বিলের ওপর বিতর্কে অংশ নিয়ে মৈত্র বলেন, মহিলাদের সংরক্ষণ দুটি সম্পূর্ণ ‘অনির্দিষ্ট তারিখের’ উপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, ‘ভারতের সংসদে দাঁড়িয়ে নারী সংরক্ষণ বিল নিয়ে কথা বলা আমার গর্ব ও লজ্জার বিষয়। এটা আমার গর্বের বিষয় যে আমি অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য, যে দলটি তাদের সদস্যদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ মহিলাকে সংসদে পাঠিয়েছে, কিন্তু এটা আমার বিস্ময় যে আমি এমন একটি লোকসভার সদস্য, যেখানে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৫ শতাংশ মহিলা, যা বৈশ্বিক গড় ২৬-এর চেয়ে অনেক কম। ৫ শতাংশ এবং এশিয়ার আঞ্চলিক গড় ২১ শতাংশের নীচে। মৈত্র বলেন, এই সরকার যখন বিভিন্ন বৈশ্বিক টেবিলে নিজেদের অবস্থান তলানিতে থাকাছে, তখন এটাও লজ্জার মধ্যে মাথা নত করতে হবে যে, আন্তঃসংসদীয় ইউনিয়ন টেবিলে মহিলাদের সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ১৯৬-এর মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৪০তম। তৃণমূল সাংসদ উল্লেখ করেছন, মহিলা সাংসদদের মধ্যে মহিলা এবং দলিতদের ধারাবাহিকভাবে কম প্রতিনিধিত্ব করা হয়েছে। সপ্তদশ লোকসভায় মাত্র দু’জন মুসলিম মহিলা সদস্য রয়েছেন ও দুজনেই তৃণমূল থেকে এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে মৈত্র বলেন, মমতাই এই বিলের প্রকৃত এবং মূল ধারণার জন্ম দিয়েছেন। কারণ তৃণমূল সাংসদদের ৩৭ শতাংশই মহিলা। তাই এটি কোনও মহিলা সংরক্ষণ বিল নয়, এটি একটি মহিলা সংরক্ষণ পুনঃতফসিল বিল। এর নাম পরিবর্তন করা উচিত। তাদের এজেন্ডা বিলম্ব, এর এজেন্ডা সংরক্ষণ নয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct