আপনজন ডেস্ক: ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের এক শুনানিতে সে দেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত উপস্থিত থাকার ঘটনা ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। তবে নিজ রাষ্ট্রদূতের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন বর্তমান অতি দক্ষিণপন্থী ও রক্ষণশীল সরকার দেশটির বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমানোর চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে দেশটিতে অনেক দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে।এ বিষয়ে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। জার্মানির রাষ্ট্রদূত স্টেফান সাইবার্ট সেখানেই উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি তিনি এক্সে ভিডিও পোস্ট করে সবাইকে জানিয়েছিলেন। সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘আমার মনে হয় ইসরায়েলের গণতন্ত্রের জন্য এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটছে এবং আমরা, ইসরায়েলের বন্ধু হিসেবে, সুপ্রিম কোর্টের দিকেও অনেক আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছি।আমি এটা নিজে উপস্থিত থেকে দেখতে চেয়েছি।’বার্লিনে ইসরায়েলের দূতাবাসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোয়েনের নির্দেশ পাওয়ার পর ইসরায়েলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জার্মান রাষ্ট্রদূত সাইবার্টের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একই বার্তা জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও পাঠানো হয়েছে। জার্মানির প্রতিক্রিয়াজার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রদূত সাইবার্টের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ‘যথাযথ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, বিশেষ করে বিষয়টি যখন প্রকাশ্যে হয়েছে, প্রত্যেক কূটনীতিকের স্বাভাবিক কাজের মধ্যেই পড়ে।’ তিনি বলেন, সাইবার্টের এমন শুনানিতে যোগদান ছিল ‘সাধারণ কূটনৈতিক অনুশীলনের এক চমৎকার উদাহরণ।’চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসও সাইবার্টের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। সোমবার তিনি বলেন, ‘জার্মান রাষ্ট্রদূত সুস্পষ্ট নীতি মেনে চলা একজন অত্যন্ত দায়িত্বশীল মানুষ। আমার মনে হয় সেটা সবাই জানেন, ইসরায়েলেরও সবাই জানেন। কূটনীতিক হওয়ার আগে সাইবার্ট সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct