আপনজন ডেস্ক: আর্মেনীয় নিয়ন্ত্রণাধীন নাগর্নো-কারাবাখের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযান শুরুর কথা জানিয়েছে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। কারাবাখের প্রধান শহরে বিমান হামলার সাইরেন ও মর্টার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। একটি মাইন বিস্ফোরণ ও অন্য একটি ঘটনায় ১১ আজারবাইজানীয় পুলিশ ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজারবাইজানের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতিগত আর্মেনীয় ছিটমহলকে ঘিরে কয়েক মাস ধরে উত্তেজনা চলছে।
বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, আজারবাইজানীয় সামরিক বাহিনী ‘মিসাইল-কামান হামলার মাধ্যমে যোগাযোগের পুরো লাইন বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে’। অন্যান্য কারাবাখ প্রতিনিধিরা একটি বড় আকারের সামরিক আক্রমণের কথা বলেছেন।
দুই প্রতিবেশী—আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে দুবার যুদ্ধে নেমেছে। প্রথমে নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এবং আবার ২০২০ সালে।
গত ডিসেম্বর থেকে আজারবাইজান আর্মেনিয়া থেকে ছিটমহলের একমাত্র রুটটি কার্যকরভাবে অবরোধ করেছে, যা লাচিন করিডর নামে পরিচিত।
মঙ্গলবার বাকুতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আর্মেনীয় বাহিনীকে তাদের সেনা অবস্থানে ‘পরিকল্পিত গোলাগুলি’র জন্য অভিযুক্ত করে বলেছে, ‘স্থানীয় সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম শুরু করে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে...আমাদের ভূখণ্ড থেকে আর্মেনিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর মোতায়েন প্রত্যাহার ও নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিত করতে।’
তারা জোর দিয়ে জানিয়েছে, বেসামরিক মানুষ বা বেসামরিক সুবিধাগুলোকে তারা লক্ষ্যবস্তু করছে না। পরিবর্তে বলেছে, ‘শুধু বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলো উচ্চ-নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করে অক্ষম করা হচ্ছে।’
অন্যদিকে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আর্মেনিয়ান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গোলাগুলির অভিযোগ বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। এদিকে কারাবাখের আঞ্চলিক রাজধানী খানকেন্দি থেকে মঙ্গলবার আর্টিলারি ও গুলির শব্দ শোনা যায়। আনুমানিক এক লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনীয় পাহাড়ি ছিটমহলে বাস করে। সাংবাদিক সিরানুশ সারগস্যান জানান, তার পাশের একটি ভবনসহ শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে আঘাত করা হয়েছে। আর্মেনীয় কর্মকর্তারা যোগ করেছেন, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা পর্যন্ত দেশটির নিজস্ব সীমান্তে পরিস্থিতি ‘অপেক্ষাকৃতভাবে স্থিতিশীল’ ছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct