সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়: আপনজন পত্রিকায় খবরের জেরে দখল মুক্ত হল খেলার মাঠ। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড়ের শানপুকুর অঞ্চলের খন্নেরপোল মাঠটি দখল করে নিয়েছিল স্থানীয় ইমারতি ও কাঠ ব্যবসায়ীরা। ৯১ রাস্তার ধারে সেচ দফতরের জায়গায়টিতে রাখা হচ্ছিল ইট, বালি, পাথর, কাঠ প্রভৃতি। মাঠটির পূর্ব দিকে রয়েছে চন্ডিহাট খোন্নেরপোল শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, একটি ক্লাব ও একটি নির্মীয়মাণ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। পাশাপাশি চন্ডিহাট, মাঝেরহাট ও কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দারা নানা সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কাজে মাঠটি ব্যবহার করেন। এমনকি এখানে কখনো কখনো রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নানা কর্মসূচি আয়োজিত হয়। স্থানীয় ইমারতি ও কাঠ ব্যবসায়ীরা মাঠটির দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। রাস্তার উপরেই দাঁড়িয়ে থাকতো সারি সারি গাড়ি। গাড়ী দাঁড়িয়ে থাকার কারণে দূর্ঘটনার আশঙ্কায় ছিলেন পড়ুয়া থেকে সাধারণ পথ চলতি মানুষ। বর্ষা মৌসুমে জল জমে তৈরি হচ্ছিল নতুন সমস্যা। ফলে বিদ্যালয়ে যাতায়াত থেকে খেলাধুলা কিংবা অনুষ্ঠান করতে সমস্যা হচ্ছিল পড়ুয়া, স্থানীয় খেলোয়াড় ও গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা মিলছিল না। ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিষয়টি আপনজন প্রতিনিধিকে জানান স্থানীয়রা। একই দিনে আপনজন প্রতিনিধি মাঠটি পরিদর্শন করেন। পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবারে “ ইমারতি ব্যবসায়ীদের দখলে মাঠ, একেবারে নির্বিকার প্রশাসন” এই শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয়। আপনজন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন শানপুকুর অঞ্চলের প্রধান মিরাজুল ইসলাম। তিনি কাশিপুর থানার ওসি প্রদীপ পালের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের ইমারতি দ্রব্য সরিয়ে নিতে বললে তা সরিয়ে নেওয়া শুরু হয় শনিবার থেকেই। মঙ্গলবার মাঠটি পুরোপুরি পরিস্কার করে দেওয়া হয়। গত সোমবার প্রধান মিরাজুল ইসলাম মাঠ পরিদর্শনে যান। তিনি আপনজন প্রতিনিধিকে বলেন, কে বা কারা এই মাঠে ইমারতি দ্রব্য রাখছিল আমার ঠিক জানা ছিল না। আপনাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি পুলিশকে জানাই। পুলিশের সহযোগিতায় দ্রুত মাঠটি পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct