আপনজন ডেস্ক: এ যাবৎকালের সবচেয়ে বেশি বয়সি মুরগি হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে নাম লিখিয়েছে মিশিগানের এক মুরগী। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সি মুরগি হিসেবে যখন গিনেস বুকে নাম ওঠে, তখন ওই মুরগীর বয়স ছিল ২০ বছর ২৭২ দিন। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের একটি খামারে বড় হওয়া মুরগি পিনাট। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসাবেও সে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বয়সি মুরগি। মার্সি পার্কার ডারউইন স্বামী বিলের সঙ্গে মিশিগানের যে খামারটিতে থাকেন সেখানে তাদের সঙ্গী মুরগি ছাড়াও আছে কুকুর, বিড়াল, ময়ূর, হাঁস প্রভৃতি। এই ফার্মে কোনো প্রাণী হত্যা করা হয় না। কিন্তু পিনাটের বেঁচে থাকাটাই মস্তবড় এক বিস্ময়। ২১ বছর আগে মার্সি পার্কার একটি মুরগির কয়েকটি ডিম পচা মনে হওয়ায় অ্যালিগেটরের একটি পুকুরে ফেলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় এগুলোর মধ্য থেকে ক্ষীণ একটি চিৎকার শুনতে পান।‘আমি দ্বিতীয়বার কিচিরমিচির শুনতে পেলাম। সেই সঙ্গে বুঝতে পারলাম যে ছানাটি বেঁচে আছে এবং তার খোসা থেকে বেরিয়ে আসার মতো ডিম দাঁত (অস্থায়ী একধরনের দাঁত) আছে বলে মনে হচ্ছে না’। স্মৃতিচারণা করেন খামারের মালিক মার্সি পার্কার ডারউইন- ‘আমি আস্তে আস্তে তাকে খোসা ছাড়িয়ে বের করে আনলাম। তারপর দেখা গেল ছোট্ট ভেজা সেই বস্তু আমার হাতে বসে আছে।’বাচ্চাটিকে মা মুরগির কাছে নিয়ে গেলেন ডারউইন কিন্তু সে এটাকে গ্রহণ করল না। অতএব বাচ্চাটাকে একটি বাতির সাহায্যে তাপ দিলেন। একই সঙ্গে কিভাবে নিজে নিজে খেতে ও পান করতে হয় শেখালেন। ছানাটি শুরুতে অন্য মুরগির বাচ্চাদের তুলনায় ছোট ছিল। কখনো এক পাউন্ডের বেশি হয়নি ওই সময় তার ওজন, যা খামারের অন্যান্য মুরগির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। তাই মার্সি তার নাম রেখেছেন পিনাট বা চিনাবাদাম। মিশিগানের এই নারী কখনই কল্পনা করেননি যে শরীরে বাদামি ফুটকির মুরগিটি মার্সি ও তার স্বামীর সঙ্গে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে থাকবে। তারা গত মে মাসে পিনাটের জন্মদিন উদ্যাপন করেন। আগের মতোই সুস্থ এবং চঞ্চল আছে মুরগিটি। একটা সময় পর্যন্ত নিয়মিত ডিম দিয়েছে এবং বাচ্চা-কাচ্চার মাও হয়েছে সে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct