মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়, মোদি থাকলে সব অসম্ভব সম্ভব হবে। এই জাদুমন্ত্র তৈরি হয়েছিল ২০১৯-এর নির্বাচনের আগে বালাকোট স্ট্রাইকের পরে দেশভক্তির আবেগকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হয়েছিল সেই আশ্চর্য স্লোগান : মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। এটি নরেন্দ্র মোদির জাদুকর ইমেজ। লার্জার দ্যান লাইফ। লিখেছেন দিলীপ মজুমদার।
মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়, মোদি থাকলে সব অসম্ভব সম্ভব হবে। এই জাদুমন্ত্র তৈরি হয়েছিল ২০১৯-এর নির্বাচনের আগে বালাকোট স্ট্রাইকের পরে দেশভক্তির আবেগকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হয়েছিল সেই আশ্চর্য স্লোগান : মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। এটি নরেন্দ্র মোদির জাদুকর ইমেজ। লার্জার দ্যান লাইফ। পারলে ইনিই পারবেন। কালোকে সাদা করতে, নকলকে আসল করতে, দেশকে সোনায় মুড়ে দিতে পারবেন ইনি। আগের আগের শাসকরা তো কিছুই করতে পারেন নি। ভক্তির আবেগে কোন কোন মোদিভক্ত এমন কথাও বলে ফেললেন, ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হয় নি আদৌ, স্বাধীনতার লিজ নিয়েছিল ইংরেজের কাছে, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি যখন ক্ষমতায় এলেন, তখনই দেশ প্রকৃতভাবে স্বাধীন হল। ভক্তবৃন্দ উচ্চিকত হলেন এই বলে : ঘর ঘর মোদি, হর ঘর মোদি। জাদুমন্ত্রে আবিষ্ট হল দেশ। যুক্তি নয় , ভক্তি। পরিশুদ্ধ নয়, তরল আবেগ। গুজরাট ডুবু ডুবু, ইউপি ভেসে যায় রে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ? আছে না মোদিনোমিক্স ! দেশের অর্থনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করার কাজে লেগে আছেন মোদি, গরিব আর বড়লোকের ফারাক ঘুচিয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর তিনি, কালোটাকার দফারফার জন্য করেছেন নোটবন্দি। তাই বিশ্ব তথা ভারতের অর্থনীতিতে অবদানের জন্য সিওল পিস পুরস্কার পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। মোদির আগে এই পুরস্কার পেয়েছেন ১৩ জন যাঁদের মধ্যে আছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব কোফি আন্নান, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। শুধু তাই নয়, মোদি ঘোষণা করে দিয়েছেন ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারত হবে ‘ফাইভ ট্রিলিয়ন ডলার’ অর্থনীতির দেশ।
ফাইভ ট্রিলিয়ন ডলার, বুঝলেন ! ১ ট্রিলিয়ন হল ১ লক্ষ কোটি। তার মানে ভারত হবে ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার অর্থনীতির দেশ।
কিন্তু, ওই যে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘রাজপ্রতাপের দম্ভ সে তো এক নিমেষের আয়ু !’ ২০২৩ সালে পর পর ঘটে গেল অনেকগুলো ঘটনা। যেমন এক, মোদির দল রাহুল গান্ধীকে বিরোধী নেতা করে দিয়ে ইতিহাসের অচেতন হাতিয়ার হয়ে গেলেন। ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা করছিলেন রাহুল, তার থেকে কিছুটা ভয় সঞ্চারিত হচ্ছিল। ‘সব চোরেদের পদবি মোদি’ বলায় তাঁকে সংসদ থেকে সাসপেণ্ড করা হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমে সে খবর প্রকাশ পেল। তারপর সুপ্রিম কোর্ট রাহুলকে ফিরিয়ে দিলেন তাঁর হৃত সম্মান। বুক ফুলিয়ে রাহুল সংসদে এসে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর জ্বলাময়ী ভাষণ দিলেন। সংসদে আবার একটা ঐতিহাসিক ভুল করে বসলেন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি বললেন, রাহুল বক্তৃতার শেষে তাঁকে না কি ‘ফ্লাইং কিস’ ছুঁড়েছেন। আসলে রাহুলকে উপেক্ষা করা ও দমানোর জন্য স্মৃতি ইরানির এই মিথ্যে অভিযোগ। অভিযোগটা যে মনগড়া সেটা প্রমাণ করার জন্য বেগ পেতে হয় নি বেশি। এইসব কারণে এতদিন যাঁকে ‘পাপ্পু’ বলে ঠাট্টা করেছেন মোদি ও তাঁর দল, তিনি হয়ে উঠলেন adult, এমন কি বিরোধী দলের নেতার ইমেজটাও প্রায় তৈরি করে দিলেন মোদি ও তাঁর দল। মহু্য়া মৈত্রতো তাঁর ভাষণে প্রমাণ করে দিয়েছেন দেশে এখন আসল ‘পাপ্পু’ কে।
দুই . কংগ্রেসসহ ২৬ টি দল মিলে গঠন করল একটি জোট। সেই জোটকে অচেতনভাবে শক্তপোক্ত করে দিচ্ছেন মোদি ও তাঁর দল। কিভাবে ? বিভিন্ন বিরোধী নেতার পিছনে ইডি আর সিবিআইকে লাগিয়ে। ইডি ও সিবিআই বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে যত সক্রিয় হবে, ততই আত্মরক্ষার খাতিরে বিরোধীরা বেশি করে ঐক্যবদ্ধ হবেন।
তিন, মণিপুরের আগুন, মেইতেই ও কুকিদের সংঘর্ষ, উলঙ্গ করে দুই নারীকে প্যারেড করানো ; সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীসহ সমগ্র প্রশাসনের বিস্ময়কর নীরবতা। দেশ-বিদেশে ধিক্কার।
চার . প্রধানমন্ত্রীর দুটি ভাষণ। ১৫ আগস্ট লালকেল্লায় ভাষণ দিলেন তিনি। সে ভাষণ যেন নির্বাচনী বক্তৃতা। তার উপর তিনি বললেন সামনের বছর তিনি আবার এখানে ভাষণ দেবেন। তার মানে আবার তাঁর দলের জয় হবে, আবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। এটাও তাঁর ভীতিমানসিকতার প্রতিফলন নিঃসন্দেহে। সংসদে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ। ২ ঘণ্টা ১৪ মিনিট। লালবাহাদুর শাস্ত্রীকে ছাপিয়ে গেলেন। লালবাহাদুরের ছিল ২ ঘন্টা ১৩ মিনিট। গোদি মিডিয়া বলে উঠল, বাহবা নন্দলাল। কিন্তু তলিয়ে দেখলে অন্য জিনিস সামনে আসে। সেদিন সংসদে মণিপুর নিয়ে আলোচনা ছিল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের একেবারে শেষদিকে মণিপুর সম্বন্ধে বললেন মাত্র তিন মিনিট। বিরক্ত হয়ে বিরোধীরা কক্ষত্যাগ করে চলে গেছেন ততক্ষণে। মোদির দলের লোক ও গোদি মিডিয়া বললেন, ওঃ, মাস্টারস্ট্রোক। কিন্তু তলিয়ে ভাবলে এখানেও ভীতিমানসিকতার প্রতিফলন দেখতে পাব। মণিপুরে তাঁরা যদি কোন অন্যায় না করে থাকেন, তাহলে প্রথমেই তো সেটা বুক ফুলিয়ে বলতে পারতেন ! এমনিতেই তাঁর বক্ষ ৫৬ ইঞ্চি, সেটা না হয় আরও বিস্তৃত হয়ে ৬০ ইঞ্চি হত !
পাঁচ . সুপ্রিম কোর্ট, বিশেষ করে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ইনি রঞ্জন গোগই নন। স্বভাবত স্বতন্ত্র। বাঁশুরি স্বরাজ মণিপুরের কথা বলতে গিয়ে টেনেছিলেন ছত্তিশগড়, রাজস্থান আর পশ্চিমবঙ্গের কথা, তাঁকে থামিয়ে দিয়েছিলেন চন্দ্রচূড়, সরকারের ব্যর্থতার কথা সুস্পষ্টভাষায় উচ্চরণ করেছিলেন। এই ঋজু মানুষটিকে ভয় পেতে শুরু করেছেন মোদি আর তাঁর দলবল। তাই নির্বাচন কমিশন থেকে চন্দ্রচূড়কে সরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। যে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে তাতে থাকবেন না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। কমিটির চেয়ারম্যান হবেন প্রধানমন্ত্রী, সদস্য হবেন বিরোধী নেতা ও মন্ত্রীসভার এক সদস্য। এসব করতে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। এই সমগ্র বিষয়টিকে পাকাপোক্ত করার জন্য একটা বিল এনে সেটা আইনে পরিণত করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে বিলের নাম –‘দ্য চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যাণ্ড আদার ইলেকশন কমিশনার্স ( অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কণ্ডিশন অব সার্ভিসেস অ্যাণ্ড টার্ম অব অফিস ) বিল, ২০২৩। এই কাজও যে সরকারের ভীতিমানসিকতার ফল সেটা সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার।
ছয় . CAG রিপোর্ট। তার খণ্ডাংশ প্রকাশিত। আর সেই খণ্ডাংশেই বড় বড় ঘোটালার স্পষ্ট ছবি। সংবাদমাধ্যমে তা প্রকাশিত হচ্ছে। সেখানেও চন্দ্রচূড়কে ভয়। ২০২৪এর নির্বাচনের সময় তিনি তো পদে থাকবেন ! এক ঘোটালা টানতে গিয়ে আর এক ঘোটালা না বেরিয়ে আসে !বিজেপির আইটি সেল সক্রিয় হয়ে উঠছে চন্দ্রচূড়ের ব্যাপারে। শুরু হয়েছে তাঁর চরিত্রহননের ধারা। ট্রোল হচ্ছে।ছাড়া হচ্ছে না তাঁর স্ত্রী ও দত্তক কন্যাদেরও।
সাত. স্বাধীন মতপ্রকাশের কণ্ঠরোধ করেছে বিজেপি, বহু মাধ্যমকে নিয়ে এসেছে নিজের তাঁবে। যাদের বলা হয় গোদি মিডিয়া। বন্ধ করে দিয়েছে বহু ইউ টিউব চ্যানেল। তবু সম্প্রতি আমরা দেখছি মোদিবিরোধী কণ্ঠস্বরের বিস্তৃতি। অভিসার শর্মার ইউ টিউব, অজিত আনজামের ইউ টিউব, দেশভক্তের ইউ টিউব, হামারা মঞ্চ, দীপক শর্মার ইউ টিউব, আই নিউজ হিন্দি, নকিং নিউজ, উল্টা চশমা, শ্যামা মির সিংএর ইউ টিউব, দীপক ব্যাপারির বংগ নিউজ, পরুষ শর্মার ইউ টিউব, টিভি ১৪ ভারত, পাবলিক পাওয়ার, প্রগ্গা কা পান্না, দ্য মিমিক, এমনি আরো অজস্র।
আট. বিজেপির অন্দরে ক্ষমতার লড়াই। অমিত শাহকে টপকে যোগী আদিত্যনাথ প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হতে পারেন না কেন ? রাজস্থানের বসুন্ধরার বেসুরো কথা। বেসুরো কথা উমা ভারতীর ল মধ্যপ্রদেশে খেয়োখেয়ি। পশ্চিমবঙ্গে সাংসদ সুভাষ সরকারকে তালাবন্দি করে রেখেন তাঁরই দলের কর্মীরা। মোদি কি আর আছেন মোহন ভাগবতের নেকনজরে ?
আগে যে সব চ্যানেলের উল্লেখ করেছি সেগুলিতে প্রধানত মোদির আত্মপ্রচারপ্রীতি, পোশাকপ্রীতি, ক্যামেরাপ্রীতি নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়। ব্যঙ্গ করা হয় তাঁর ইংরেজি উচ্চরণ নিয়ে, টেলিপ্রম্পটার দেখে ভাষণ দেওয়া নিয়ে, পড়াশোনো নিয়ে, গুলবাজি নিয়ে। নেহা সিং রাঠোর তাঁর লোকগীতির মাধ্যমে প্রশ্ন করেন দেশে হচ্ছেটা কি ( কা বা ), যে মোদি নিজেকে চৌকিদার বলেন, তাঁর কাছে নেহার প্রশ্ন কাইসন বা তোহারি চৌকিদারিয়া হো। পরুয শর্মা চায়েওয়ালা চাচা অর্থাৎ মোদিকে বলেন, চিচা কুছ তো শরম করো। কবি সঞ্জয় ঝালা তাঁর কবিতায় বলেন ব্রহ্মা মোদিকে তৈরি করার পরে বলেছেন, এই আমার শেষ মানুষ, আর মানুষ তৈরি করব না। সঞ্জয় ঝালার আর একটি মজার কবিতার কথা বলি। হনুমান জয়ন্তীর দিনে সংসদে এসে মোদি তাঁর সাংসদদের বললেন, নিজেদের হনুমান মনে করো (তার মানে তিনি নিজে যেন রামচন্দ্র)। তখন এক সাংসদ করজোড়ে বলেন, প্রভু, মাতাজির সংবাদ আনতে হবে কি ? কবি সম্পত সরল তাঁর কবিতায় মোদিকে ‘তামাশাবাজ রাজা’ বলে সম্বোধন করেছেন। সংসদে ফ্লাইং কিসের অভিযোগের ব্যাপারে অভিসার শর্মা বলেন, ‘স্মৃতি চাচি কি ফ্লপ অ্যাক্টিং’। মোদির অন্ধভক্তদের নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয় একাধিক চ্যানেলে। অজিত আনজামের ইউ টিউবে প্রকাশ পায় গোদি মিডিয়ার ভোল বদলের খবর। সুধীর চৌধুরীকে ধমকান স্মৃতি ইরানি। অর্ণব গোস্বামী প্রশ্ন তোলেন মণিপুরের ঘটনা নিয়ে। এ কথা সত্য যে গদি মিডিয়া বুঝতে পেরেছে গন্ধটা সন্দেহজনক ; তাই একটু একটু করে ভোল বদল শুরু করেছে অর্ণব গোস্বামীর মতো।
‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান যে ডাহা মিথ্যে, মোদি যে ক্রমাগত মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন, তা টক-ঝাল-মিষ্টি করে পরিবেশিত হচ্ছে এই সব চ্যানেলে। বলা হচ্ছে, কি হল বছরে ১ কোটি মানুষের চাকরির ? কোথায় গেল স্বচ্ছ ভারত অভিযানের টয়লেট ? কি হল লোকপালের ? টেক্সটাইল ইন্ড্রাস্টির এমন হতদরিদ্র দশা কেন ? অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ এখনও তো ঢুকল না ? এ সবই কি জুমলা ?
এইসব ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ—ঠাট্টা-ইয়ার্কির মধ্যে জনমত যে তৈরি হচ্ছে সেটা মোদি ও তাঁর দলের লোকেরা বুঝতে পারছেন। তাহলে কি ভাগ্য ও ভবিতব্যের হাতে নিজেদের সমর্পণ করে চুপ করে বসে থাকবেন ? না, তা পারবেন না। তাহলে কি করবেন ? সম্ভাবনাগুলি এক এক করে বলা যাক :
১] আবার দেশপ্রেমের নকল আবেগ তৈরি করতে হবে। সেটা হতে পারে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধের মাধ্যমে। উৎপল দত্তের নাটকের একটি সংলাপ মনে করুন : দেশে যখন সংকট তখন একটা যুদ্ধ-টুদ্ধ লাগিয়ে দাও।
২] সম্প্রদায়িকতার তাস বের করো। আরে, কাশী মথুরা বাকি হ্যায়। বিশ্বনাথ মন্দির ভেঙে আওরঙ্গজেব তৈরি করেছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ। তার ভেতর থেকে বের হোক শিবলিঙ্গ। অযোধ্যায় সাফ হয়ে গেছে বাবরি মসজিদ। কাশীতে সাফ হোক জ্ঞানবাপী। ছি, ছি এত্তা জঞ্জাল ! ধ্বংস করে দাও টিপু সুলতানের সব চিহ্ন।
৩] জেলে পোরা হোক দেশদ্রোহী, আরবান নকশাল বিরোধী মাথাদের। আর সেই জন্যই ইডির মাথা সঞ্জয়কুমার মিশ্রকে অবসর নিতে দেওয়া যাবে না। তাঁকে দেওয়া হবে একটা নতুন পদ CIO [Chief Investigation Officer]. তিনি ইডি ও সিবিআইএর মাথার উপর বসবেন, মোদির সঙ্গে তার যোগাযোগ থাকবে নিয়মিত।
৪] ‘দেশে ফ্যাসিবাদ কিভাবে আসছে’ ভাষণে মহুয়া মৈত্র বলেছিলেন নির্বাচনী ব্যবস্থাকে করায়ত্ত করার কথা। তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়ার জন্য মোদির দল সংসদ বিল এনেছে।
এই চারটি সম্ভাবনার কথা মনে রাখতে হবে INDIA জোটকে। সাবধান হতে হবে। আর তা যদি না হয়, নিজের নিজের ইগো আঁকড়ে থাকে, তাহলে ফের একটা ঐতিহাসিক ভুল করে বসবেন ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct