সারিউল ইসলাম, বহরমপুর, আপনজন: পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস বা ডাব্লুবিসিএস পরীক্ষার সিলেবাসে বদল আসছে এ বছর থেকে। মূলত সেই উপলক্ষে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করলো একাডেমিক বহরমপুর নামের একটি বেসরকারি কোচিং সংস্থা। গত সাত বছর ধরে চলে আসা এই কোচিং সংস্থার আজ ছিলো আট তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে কেক কেটে দিনটি উদযাপন করেন তারা।এদিন ডব্লুবিসিএস পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি এর আগে বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা সভা করা হয়। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করে ওই কোচিং সংস্থা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ জিএসটি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার শামীম সরকার, ওই কোচিং সংস্থার বহরমপুর শাখার প্রধান অনির্বাণ মজুমদার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।শামীম সরকার বলেন, ‘নতুন পরীক্ষার্থীরা নতুন সিলেবাস দেখে হয়তো ঘাবড়ে যেতে পারে। তাদের ভয়-ভীতি দূর করতেই এই আলোচনা সভার আয়োজন। নতুন সিলেবাসের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। সিলেবাসের ভালো দিক এবং খারাপ দিক সমস্ত বিষয়টা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। বহরমপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার পরীক্ষার্থীরা এখানে উপস্থিত ছিলো। বর্তমানে ছেলেমেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়ার উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে যার ফলে তারা প্রকৃত শিক্ষা থেকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিকটা গ্রহণ করতে হবে এবং খারাপ দিকটা বর্জন করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি এর আগে এখান থেকে পড়াশোনা করে যারা সিলেক্ট হয়েছিল তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গে চাকরি অনেক আছে, কিন্তু সেই চাকরির জন্য প্রথমে যোগ্যতা তৈরি করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। আগে একটা ব্লকে একটা জয়েন্ট বিডিও থাকত কিন্তু বর্তমানে দুটো জয়েন্ট বিডিও থাকছে। এছাড়াও সরকারের রেভিনিউ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরের কর আদায় করার জন্য কর্মী দরকার। হয়তো দেখা যাচ্ছে যে চাকরি পাচ্ছে তার কাছে দশটা চাকরির অফার এসেছে কিন্তু যে পাচ্ছে না সে পাচ্ছে না কারণ তার গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়নি। সেক্ষেত্রে সেই চাকরিগুলো একটা প্রস্তুতির মাধ্যমে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে হবে প্রত্যেককে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct