নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: বেহালায় নেশাগ্রস্ত নাতি মেরে ফেলল দিদিমাকে। শুধু তাই নয়, রবিনসন স্ট্রিটের মত সেই মৃতদেহ আগলে বসে রইল টানা চার দিন। ৩৫ বছর বয়সী অভিষেক দাস তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে তার দিদিমাকে মেরে ফেলেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছেলেটি মানসিকভাবে ঠিক ছিল না এবং নেশাগ্রস্ত থাকতো। নেশার বিভিন্ন ওষুধও ঘরের মধ্যে পাওয়া গেছে। বুধবার মাকে চেয়ার দিয়ে মাথায় মারে। দিদিমা বাঁচাতে আসলে দিদি মাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়।দিদিমার মৃত্যু ঘটে এবং তারপর থেকে দরজা বন্ধ করে ঘরে বসে ছিল। কোন রকম ভাবে বের হয়নি বাইরে ওই ছেলেটি। অনেকদিন পাড়া প্রতিবেশীরা না দেখতে পেয়ে শনিবার পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় এবং পুলিশ এসে দেখে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পুলিশ অফিসাররা দেখে দিদিমা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। একই সঙ্গে ওই যুবকের মাকে থানায় নিয়ে যায়। ওই যুবকের মায়ের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আপাতত তাদের সাথে ঐ বাড়িটি সিল করে দিয়েছে বেহালা থানার পুলিশ।শনিবার খবর পেয়ে চন্ডিতলার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। ঘর থেকে বৃদ্ধা পুষ্পা দাসের (৯৫) দেহ উদ্ধার হয়। একই ঘরের মাটিতে পড়েছিলেন পদ্মা দাস (৫৭)। গুরুতরভাবে জখম। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর মা পদ্মাদেবীর সঙ্গে অশান্তি বেঁধেছিল ছেলে অভিষেকের। অশান্তি থামাতে এগিয়ে এসেছিলে দিদিমা। নাতি ধাক্কা দিতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পুষ্পাদেবী। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ছেলের মারে জখম হয়েছিলেন মা-ও পদ্মা দাসও। বর্তমানে আহত মহাপদ্মা দাস ও ছেলে অভিষেক দাস। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এই ঘটনা ঘটানোর পর অভিষেক প্রচুর পরিমাণে ঘুমের ওষুধ খেয়ে অচৈতন্য হয়ে রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct