কাজী আমীরুল, লাভপুর, আপনজন: গলার নলি কাটা, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো বীরভূমের লাভপুরে। লাভপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আততায়ীরা গলার নলি কেটে খুন করেছে ৪৩ বছর বয়সী রবীন্দ্রনাথ টুডুকে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বোলপুর মহকুমা পুলিশ অধিকারীক। খুনের কারন কি ? তদন্ত শুরু করেছে লাভপুর থানার পুলিশ। বীরভূমের লাভপুরে এক ব্যক্তির গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য লাভপুর থানার চৌহাট্টা মহোদরী ২ নম্বর অঞ্চলের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে। স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে খবর, বছর ৪৩ এর খুন হওয়া ব্যাক্তির নাম রবীন্দ্রনাথ টুডু। বৃহস্পতিবার বিকালে শেষ বারের মতো দেখা গিয়েছিল তাকে। পরে এদিন স্থানীয়রা ধোয়াডাঙ্গা শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পথের ধারে ওই ব্যাক্তির মৃতদেহ পরে থাকতে দেখেন। স্বাভাবিক ভাবে তার পরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবী, বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ির একটি ফ্যান সারাই করার জন্য আহমেদপুর গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। পরে সেই ফ্যান সারাই করে গ্রাম ঢোকার আগে তার ভাই দিলীপ টুডুর হাতে ফ্যানটি দিয়ে জানান তাঁর বন্ধু আসছে। তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন, এবং চলেও যান। তবে তার পরে আর ঘরে ফেরেনি রবীন্দ্রনাথ। সারারাত খোঁজাখুঁজির পরে আজ শ্রীকৃষ্ণপুর ও ধোয়াডাঙ্গা গ্রামের মাঝের রাস্তার ধারে তার গলা কাটা মৃত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের ভাই দিলীপ টুডু জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে শেষ দেখা হয় দাদার সঙ্গে। তখন সে তার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাবে বলে বেরিয়ে যায়। আর বাড়ি ফেরেনি। এদিন গলাকাটা নৃশংস দেহ উদ্ধার হয়। বন্ধুদের সঙ্গে মদ খেতে গিয়ে সেখানেই তাদের সঙ্গে কোনো বচসার জেরে দাদাকে খুন হতে হলো। তার বন্ধুরাই খুন করেছে। তবে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় লাভপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর সিয়ান হাসপাতালে পাঠিয়েছে। যদিও কী কারণে খুন ? কে বা কারা এই খুন করলো ? তা এখনো স্পষ্ট না হলেও, পুলিশ জানিয়েছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বাকি তদন্ত করা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct