সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়, আপনজন: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড়ে ইমারতি ব্যবসায়ীদের দখলে খেলার মাঠ। বিপাকে পড়ুয়া থেকে স্থানীয় খেলোয়াড়রা। অভিযোগ জমা পড়ার পরও নির্বিকার প্রশাসন ও পুলিশ।৯১ রোডের ধারে খন্নেরপোলে সেচ দফতরের মাঠটি অবস্থিত। মাঠের পূর্ব পাশে রয়েছে খন্নেরপোল চন্ডিহাট শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, রয়েছে একটি ক্লাব; এছাড়াও রয়েছে নির্মীয়মাণ একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। মাঠটিতে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় খেলোয়াড়রা খেলাধুলা করেন। এছাড়াও মাঝেরহাট, চন্ডিহাট ও কাশিপুর গ্রামের মানুষরা নানা সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কাজে মাঠটি ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে।গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্থানীয় ইমারত ব্যবসায়ীরা মাঠটি দখল করে বালি, পাথর, ইট প্রভৃতি রেখে ব্যবসা চালাচ্ছেন। কখনও কখনও গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখেন কাঠ ব্যবসায়ীরা। এর ফলে মাঠের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।ভোগান্তি বাড়ে বর্ষাকালে। মাঠে বালি, পাথর, ইট, কাঠ ফেলে রাখার ফলে জল জমে থাকে। কাদা জল ডিঙিয়েই বিদ্যালয়ে আসতে হয় খুদে পড়ুয়াদের। খেলোয়াড়দেরও অসুবিধায় পড়তে হয়। গ্রামবাসীরা আপনজন প্রতিনিধিকে জানান, বিষয়টি নিয়ে থানা, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিকে জানানো হয়েছে। তারপরও ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমেনি। প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বিকার থাকার অভিযোগ এনেছেন গ্রামবাসীরা।চন্ডিহাট গ্রামের বাসিন্দা ইন্তিয়াজ মোল্লা এবিষয়ে আপনজন প্রতিনিধিকে বলেন, “ প্রশাসনিকভাবে থানা, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে লিখিত দিয়েও এখনও কোনো সুরাহা মেলেনি। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি বিষয়টি দ্রুত দেখার জন্য।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য (নব নির্বাচিত, শানপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত) এনামুল মোল্লা বিষয়টি পুনরায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct