আপনজন ডেস্ক: ইউরোপজুড়ে চরম দক্ষিণপন্থী শক্তির বাড়বাড়ন্তের মাঝে মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলো যতটা সম্ভব ভোটারদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করছে। কিন্তু একের পর এক নির্বাচন ও জনমত সমীক্ষায় চরমপন্থীদের প্রতি মানুষের সমর্থন বেড়েই চলেছে। এমন শক্তিকে ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে রাখতে নিজস্ব প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে মূলস্রোতের রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই একজোট হচ্ছে। জার্মানির চরম দক্ষিণপন্থী এএফডি দলকেও এতকাল সেভাবে একঘরে রাখা হয়েছে।বাকি দলগুলো এএফডির সঙ্গে জোট সরকার গড়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে। বিরোধী পক্ষ থেকেও সেই দলের সঙ্গে সহযোগিতার প্রস্তাব বারবার উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা সেই দলের কয়েকজন নেতার কার্যকলাপের ওপর নজর রাখায় এতকাল সব দল আরো সতর্ক ছিল। কিন্তু এবার সেই প্রত্যয়ে চিড় ধরায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে।আপাতদৃষ্টিতে গুরুত্বহীন হলেও জার্মানির প্রধান বিরোধী ইউনিয়ন শিবিরের স্থানীয় শাখার এক সিদ্ধান্ত গোটা দেশের নজর কেড়েছে। পূর্বের টুরিঙ্গিয়া রাজ্যের পার্লামেন্টে বিরোধী দল হিসেবে সিডিইউ জনসাধারণ ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পত্তির করের বোঝা কমাতে এক উদ্যোগ নিয়েছিল। শুধু উদারপন্থী এফডিপি দলের ভোট সেই উদ্যোগের জন্য যথেষ্ট হতো না। বৃহস্পতিবার এএফডি দলের সমর্থন নিয়ে সেই প্রস্তাব অনুমোদন করা সম্ভব হয়েছে।এমন ঘটনার পর জার্মানির রাজনৈতিক জগতে আলোড়ন পড়ে গেছে। চরম দক্ষিণপন্থী শক্তির সঙ্গে যেকোনো বোঝাপড়ার পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছেন অনেক রাজনৈতিক নেতা ও বিশেষজ্ঞ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct