জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া, আপনজন: কবির ভাষায় বলা যায় পথ নেই তবু এখানে যে পথ হাঁটা। প্রশাসনের অদ্ভুত খেয়ালে গ্রামের এমন এক জায়গায় প্রাথমিক স্কুল হয়েছে যেখানে যেতে গেলে খেতের ধারে ধারে একহাঁটু জল পেরিয়ে স্কুলে পৌঁছাতে হয়। অবশ্য একটা পুকুরের আল ধরেও স্কুলে যাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে সেই পুকুরের আলটি ঝোপ ঝাড়ে ভর্তি। তাই জল কাদা ডিগিয়ে কচি কচি শিশুদের স্কুলে নিত্য যাতায়াত। এমন অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার সীমান্তবর্তী ঝাড়খন্ড লাগোয়া ঝালদা থানার কুদাগাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ঝালদা ১ নং শিক্ষা চক্রের অধীন এই বিদ্যালয়টিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৬২ জন। শিক্ষক রয়েছেন ২ জন। এলাকার প্রায় চারটি গ্রাম তথা কুদাগাড়া,বকদ, চিরকাটার ও যাত্রাগড়া গ্রামের শিশুরা এই বিদ্যালয়ে পড়তে আসে। গ্রীষ্মকালে গ্রামের পাশে থাকা একটি নদী শুকিয়ে যায় সেই নদী পেরিয়ে আসা যায় স্কুলে। কিন্তু বর্ষা থেকে শীত নদীতে জল থাকে। শিশুদের পক্ষে তখন একমাত্র ভরসা পুকুরের পাড়। তাই জল কাদা ভর্তি পুকুরের তলা দিয়ে আসতে হয় শিক্ষকদেরও। ফলে ছাত্রছাত্রীরা প্রায়ই ভিজে যায় অথবা তারা নোংরা জামা কাপড়ে স্কুলে থাকতে বাধ্য হয়। এলাকার মানুষ বলছেন তারা প্রশাসনের কাছে একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন কিন্তু তাতে ফল হয় নি। ছোট বকদ গ্রামের চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া সুদর্শন মাহাতো,তাপসী মাহাতো ছাড়াও কুদাগাড়া গ্রামের পড়ুয়া নমিতা মাহাতো,উমেশ মাহাতোরা জানায় আমাদের এইভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। আবার অনেকেই এই স্কুলে আসতেও চাই না স্কুলে আসার কোন রাস্তা থাকায়। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনক সিং মুড়া বলেন ,স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের আসতে ভীষণ অসুবিধে হয়।আমি চাইবো যাতে স্কুলে আসার রাস্তা দ্রুত করা হয়। এবিষয়ে জানতে চেয়ে ঝালদা ১ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কে ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct