আপনজন ডেস্ক: উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে প্রলয়ংকরী ভূমিকম্পের তৃতীয় দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দুই হাজার ৪৯৭ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো দুই হাজার ৪৭৬ জন। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মরক্কোয় ভূমিকম্পের কেন্দ্রের কাছে থাকা পাহাড়ি শহর-গ্রামে কেবল পৌঁছতে শুরু করেছে উদ্ধারকারী বাহিনী। সেখানে ভাঙা বাড়ির তলায় বহু মানুষ আটকে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত এগারোটা নাগাদ দেশটিতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রোববার মরক্কোর ছোট শহর আমিজমিজে উদ্ধারকারীরা ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা মানুষদের বের করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। আমিজমিজে মাত্র ১৪ হাজার মানুষ বাস করেন। সেখানে একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, চাপা পড়া মানুষের প্রাণের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে। খবরে বলা হয়েছে, উদ্ধারকারীরা মরক্কোর প্রত্যন্ত পাহাড়ী গ্রামগুলোতে পৌঁছাতে শুরু করেছে। এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এসব গ্রাম। দুর্যোগের কয়েক দিন সোমবারও অনেক জনবসতি সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছে।
ক্ষশুক্রবারের ভূমিকম্পের পরে প্রাচীন শহর মারাকেশের কাছে এটলাস পর্বতমালার কিছু রাস্তা ভূমিধসের কারণে অবরুদ্ধ ছিল। এই কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক আবাসিক এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আমিজমিজের থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের একেবারে কাছে থাকা শহর ও গ্রামগুলোতে যেতে গিয়ে প্রবল অসুবিধার মুখে পড়েছেন উদ্ধারকারীরা। পাহাড়ি শহরে যাওয়ার একমাত্র উপায় হলো, হয় হাঁটতে হবে অথবা গাধার পিঠে চেপে যেতে হবে। সেই রাস্তাও অসম্ভব খারাপ হয়ে গেছে।
জার্মানির হেনরিখ ফাউন্ডেশনের রাবাতের প্রধান আনজা হফম্যান বলেন, ‘ওই জায়গাগুলো খুবই প্রত্যন্ত এলাকায়। সেখানে যাওয়া খুবই কঠিন। স্বাভাবিক সময়েই ওখান থেকে কাছের হাসপাতালে যেতে ঘণ্টা চারেক সময় লাগত। সেই হাসপাতালও অত আধুনিক নয়।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct