আপনজন ডেস্ক: সামনে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজগুলোও তাই এখন অনেকটা সেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডও সেই বিশ্বকাপের আবহে ঢুকে গেছে চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে, যার প্রথমটি হয়ে গেল আজ কার্ডিফে। এই সিরিজটাই আবার ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার ও টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকসেরর প্রত্যাবর্তনেরও। গত বছর অতিরিক্ত ক্রিকেটের ধকল সামলাতে যিনি ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপ সামনে রেখে সেই স্টোকসই ওয়ানডে অধিনায়ক জস বাটলার ও প্রধান কোচ ম্যাথু মটের চাওয়ায় অবসর ভেঙে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। এত আলোচিত এই সিরিজে ইংল্যান্ডের শুরুটা হলো হার দিয়ে। কার্ডিফে আজ আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ড তোলে ৬ উইকেটে ২৯১ রান। তাড়া করতে নেমে ডেভন কনওয়ে ও ড্যারেল মিচেলের জোড়া সেঞ্চুরিতে যে রান ৮ উইকেট ও ২৬ বল হাতে রেখে টপকে যায় নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। এর আগে দুই দল ছয় ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে। ৪-২ ব্যবধানে সে সিরিজ জিতেছে কিউইরা। এবার ওয়ানডে সিরিজেও তাদের শুরুটা হলো জয় দিয়ে। জয়টা এসেছেও স্বাচ্ছন্দ্যে। রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতেই উইল ইয়াং ও কনওয়ে ৬১ রান যোগ করলে রান রেটের চাপটা কমে আসে। ৩৩ বলও ২৯ রান করে ইয়াং আউট হলেও সেটা কিউইদের রান তাড়ায় প্রভাব ফেলেনি। তিনে নামা হেনরি নিকোলস আউট হন ৩০ বলে ২৬ রান করে। এরপর নিউজিল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মিচেল ও কনওয়ে। কনওয়ের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৫২ বলে ১৮০ রান যোগ করেন মিচেল। কনওয়ে ১২১ বল খেলে ১৩টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ১১১ রান করেন। এটি কনওয়ের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়েছেন মিচেলও। সেটা এসেছে কনওয়ের চেয়ে দ্রুতগতিতে। তিনি অপরাজিত ১১৮ রান করেন মাত্র ৯১ বলে। ৭টি চার ও ৭টি ছক্কা ছিল মিচেলের ১২৯ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। দুজনের যুগলবন্দীতে ইংল্যান্ডের রান ৪.২ ওভার বাকি থাকতেই পেরিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজ দিয়ে তরুন ইংলিশ ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুকও ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরেছেন। মাত্র তিনটি ওয়ানডে খেলা এই প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানকে বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে না রাখায় অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে তিনি যে বিশ্বকাপ ভাবনায় আছেন, সেটা পরিস্কার। জনি বেয়ারস্টো, জেসন রয়ের মতো অভিজ্ঞদের বিশ্রাম দিয়ে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রুককে দিয়ে ওপেন করানো হয় সে কারনেই। তবে প্রথম পরীক্ষায় খুব একটা ভালো করেননি ইয়র্কশায়ারের এই তরুণ। ৪১ বলে ২৫ রান করে আউট হন তিনি। ওপেনিংয়ে নামা ডেভিড মালান অবশ্য আউট হন ৫৩ বলে ৫৪ রান করে। ওপেনারদের মতো থিতু হয়ে আউট হয়েছেন ইংলিশ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও। জো রুট তিনে নেমে ৬ রানে আউট হলেও স্টোকস ফিরেই করেছেন ফিফটি। ৬৯ বলে ৫২ রান করে আউট হন তিনি। অধিনায়ক বাটলারের ব্যাট থেকে আসে ৬৮ বলে ৭২ রান। ফিফটি করেছেন লিয়াম লিভিংস্টোনও (৪০ বলে ৫২)। তবে কনওয়ে ও মিচেলের মতো কেউই ইনিংস লম্বা করে না পারায় ইংল্যান্ডের রানটাও তিন শ ছাড়ায়নি। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার রচিন রবিন্দ্র।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct