আপনজন ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার মিত্ররা শনিবার মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ভারতকে সংযুক্ত করে একটি রেল ও শিপিং করিডোর নির্মাণের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন।বাইডেন বলেন, ‘এটি একটি বড় বিষয়। ‘এটা সত্যিই অনেক বড় ব্যাপার’ বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর বার্ষিক জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে উল্লিখিত এই করিডোর বাণিজ্য বৃদ্ধি, জ্বালানি সম্পদ সরবরাহ এবং ডিজিটাল সংযোগ উন্নত করতে সহায়তা করবে। বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন, ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সুলিভান বলেন, এই নেটওয়ার্ক ‘সুদূরপ্রসারী বিনিয়োগের’ জন্য বাইডেনের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে যা ‘কার্যকর আমেরিকান নেতৃত্ব’ এবং অন্যান্য দেশকে অংশীদার হিসাবে গ্রহণ করার ইচ্ছা থেকে আসে। তিনি বলেন, উন্নত অবকাঠামো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কে ত্বরান্বিত করবে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে একত্রিত করতে সহায়তা করবে এবং সাম্প্রতিক ইতিহাসের মতো “চ্যালেঞ্জ, সংঘাত বা সংকটের উৎস” হিসাবে নয় বরং এই অঞ্চলটিকে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করবে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ এই ঘোষণায় অংশ নেন। অনুবাদকের মাধ্যমে মোদী বলেন, সমস্ত অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ বাড়ানো ভারতের জন্য একটি প্রধান অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, কানেক্টিভিটি শুধু বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি ই নয়, পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোরও একটি মাধ্যম। রেল ও শিপিং করিডোর বিশ্বের একটি বিস্তৃত অংশকে শারীরিকভাবে একত্রিত করতে, ডিজিটাল সংযোগ উন্নত করতে এবং হাইড্রোজেনের মতো জ্বালানি পণ্য সহ দেশগুলির মধ্যে আরও বাণিজ্য সক্ষম করতে সহায়তা করবে। যদিও হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা এটি সম্পন্ন করার জন্য কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করেননি সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানএই ঘোষণার সময় ২০ বিলিয়ন ডলারের অঙ্ক উল্লেখ করলেও হোয়াইট হাউজ এই প্রকল্পের ব্যয় বা অর্থায়ন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে এই অর্থ শুধুমাত্র সৌদি প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিনা তা স্পষ্ট নয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct