আপনজন ডেস্ক: বিহারের শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখর বলেছেন, ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম’, যা সংস্কৃত ভাষায় এই বাক্যের অর্থ ‘নিখুঁত মানুষ’। শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে নালন্দার হিলসা ডিভিশনের বাবা অভয়নাথ ধাম প্রাঙ্গণে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।চন্দ্রশেখর বলেন, “যখন পৃথিবীতে শয়তানবাদ বৃদ্ধি পায়, বিশ্বাসের অবসান ঘটে। চারদিকে অসৎ মানুষ ও শয়তান ছিল, তখন মধ্য এশিয়ার অঞ্চলে ঈশ্বর ঈমান আনার জন্য মহান মনুষ্যত্বসম্পন্ন একজন মেধাবী ব্যক্তি ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম’ নবী মুহাম্মদ সা. কে সৃষ্টি করেছিলেন। রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতা আরও বলেন, “ইসলাম এসেছে বিশ্বাসীদের জন্য, ইসলাম এসেছে অসততার বিরুদ্ধে, ইসলাম এসেছে মন্দের বিরুদ্ধে।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিল্প ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জিতেন্দ্র রায়, শ্রম সম্পদ মন্ত্রী সুরেন্দ্র রাম, বিজ্ঞান ও তথ্যমন্ত্রী মহম্মদ ইসরাইল মনসুরি, হিলসা-র প্রাক্তন বিধায়ক ও দলের মুখপাত্র শক্তি সিং যাদব এবং প্রাক্তন বিধায়ক চন্দ্রশেখর প্রসাদ।শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক চন্দ্রশেখর নবী মুহাম্মদকে ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম’-এর সঙ্গে তুলনা করার পর পরই বিজেপি পাল্টা আক্রমণ করে বলে, লালু প্রসাদ যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি ধর্ম ও জাতপাতের নামে উন্মাদনা ছড়িয়ে ভোট জয়ের চেষ্টা করছে।এ প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র অরবিন্দ কুমার সিং বলেন, শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখর মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়েছেন। কখনও তিনি রামায়ণ নিয়ে মন্তব্য করেন, আবার কখনও নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে কথা বলেন। এই লোকেরা ধর্ম ও জাতপাতের নামে লড়াই করে ভোটের রাজনীতি করে। এর জন্য নিন্দাই যথেষ্ট নয়।বিজেপির ওবিসি মোর্চার জাতীয় সাধারণ সম্পাদক নিখিল আনন্দ বলেছেন, চন্দ্রশেখরের বিতর্কিত মন্তব্য আরজেডি-র রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। চন্দ্রশেখর যদি হিন্দু সনাতন ধর্মের প্রতি এতটাই বিরুদ্ধ থাকেন তাহলে তার উচিত ‘মাওলানা’ টুপি পরা, নামাজ পড়া, সুন্নতি হওয়া এবং পাকিস্তানে চলে যাওয়া।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct