আপনজন ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মধ্যে বিরোধ আরও বেড়ে গেল যখন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে “মধ্যরাতের পদক্ষেপ” হুঁশিয়ারির পরে “রক্তচোষা” বলে অভিহিত করেন। রাজ্যপাল বোস রাজ্যের মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে শনিবার রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে। রাজ্যপাল বোস রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে প্রায় এক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিযুক্ত করার পরে দু’জনের মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়। ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের সাথে পরামর্শ না করেই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং এই নিয়োগকে অবৈধ বলে অভিহিত করেন। অন্যদিকে, কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় রাজ্যপাল বলেন, শনিবার তিনি মাঝরাতে পদক্ষেপ করবেন বলে শিক্ষামন্ত্রীকে হুমকি দেন। রাজ্যপাল বলেন, আজ মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বুঝতে পারবেন পদক্ষেপ কাকে বলে। এই মন্তব্যের পর শিক্ষামন্ত্রী গভর্নরকে রক্তচোষা বলে অভিহিত করেন। সোশ্যাল মিডিয়া ট্যুইটারে ব্রাত্য বসু লেখেন, ‘সাবধান, সাবধান, সাবধান! শহরে নতুন রক্তচোষা এসেছে। শহরবাসী নিজেদের খেয়াল রাখুন। ভারতীয় পুরাণ মতে রাক্ষস প্রহরের জন্য অপেক্ষায় আছি।’ কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলছেন, ‘আমার খুব ভয় লাগছে। রাজ্যপাল এত রাত জেগে কাজ করছেন। কোথাও না অসুস্থ হয়ে পড়েন।’ এর আগে ব্রাত্য বসু রাজ্যপালকে কাল্পনিক ব্রিটিশ গুপ্তচর “জেমস বন্ড” নামে অভিহিত করেছিলেন। এবার তাকে মুহাম্মদ বিন তুঘলকের সাথে তুলনা করেছেন। ব্রাত্য বলেন, আগে ভেবেছিলাম, রাজ্যপাল আলাউদ্দিন খিলজি। এখন দেখছি তিনি ‘মহম্মদ বিন তুঘলক’। তবে, রাজ্যপাল আরও বলেছেন, আমার সিদ্ধান্তে কে খুশি হল সেই নিয়ে আমি ভাবছি না। উপাচার্য না থাকার কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের পডুয়াদের অসুবিধা হচ্ছিল। কোনও শংসাপত্র ইস্যু হচ্ছিল না। এটা জানার পরই তড়িঘড়ি উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে পদক্ষেপ করা হয়। আচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা চাইলে যে কোনও বিষয় নিয়ে আমরা সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আমি উপাচার্য না থাকার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। আমার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আমি খুশি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct