আপনজন ডেস্ক: নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মতাদর্শ প্রচারের প্রতিশ্রুতি বিজেপি থেকে পূরণ হয়নি বলে বুধবার বিজেপি থেকে পদত্যাগ করলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নাতি চন্দ্র কুমার বসু। চন্দ্রকুমার বসু ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং ২০১৬ সালের বিধানসভা ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে দু’বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।তিনি বলেন, “আমি যখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম, তখন আমাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে আমাকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং শরৎচন্দ্র বসুর অন্তর্ভুক্তিমূলক মতাদর্শ প্রচারের অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু সেরকম কিছুই ঘটেনি।২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহ-সভাপতি নিযুক্ত হওয়া বোসকে ২০২০ সালের সাংগঠনিক পুনর্গঠনের সময় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।তিনি বলেন, “তখন আমার আলোচনা (বিজেপির সঙ্গে) বসু ব্রাদার্সের (নেতাজি এবং তার বড় ভাই শরৎচন্দ্র বসু, যিনি নিজেও একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী) অন্তর্ভুক্তিমূলক মতাদর্শকে কেন্দ্র করে ছিল। তখন এবং পরে আমার উপলব্ধি ছিল যে আমি বিজেপির প্ল্যাটফর্মে সারা দেশে এই মতাদর্শ প্রচার করব। ধর্ম, বর্ণ ও বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত সম্প্রদায়কে ভারতীয় হিসাবে একত্রিত করার নেতাজের আদর্শপ্রচারের প্রাথমিক লক্ষ্য নিয়ে বিজেপির কাঠামোর মধ্যে আজাদ হিন্দ মোর্চা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য এটি অপরিহার্য ছিল। এই প্রশংসনীয় লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমার জোরালো প্রচারমূলক প্রচেষ্টা পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্র বা রাজ্য স্তরে বিজেপির কাছ থেকে কোনও সমর্থন পায়নি। রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমি একটি বেঙ্গল স্ট্র্যাটেজি প্রস্তাব করে একটি বিশদ প্রস্তাব পেশ করেছিলাম। আমার প্রস্তাব উপেক্ষা করা হয়েছে। এর আগে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে বসু বারবার বিজেপিররাজ্য নেতৃত্বকে আক্রমণ করেছিলেন এবং ২০১৯ সালেও সিএএ-র বিরোধিতা করেছিলেন দলের বিরুদ্ধে গিয়ে। তার পদত্যাগ নিয়ে অবশ্য বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি দলের সাথে একেবারেই যোগাযোগ রাখছিলেন না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct