আপনজন ডেস্ক: মাইক্রোওয়েভ ওভেন আজকাল প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পাওয়া যায়। তবে এই ওভেনের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেরই ধারণা নেই। শুধু কিচেনে রেখে বাইরের দিকটা সাফ রাখলেই হবে না। এই যন্ত্র ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। আর এই নিয়ম না জেনে আমরা অনেক সময় কিছু ভুল করে বসি।
উপযুক্ত পাত্র ব্যবহার করুন : মাইক্রোওয়েভ ওভেনে পাত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। পশ্চিমা বিশ্বে আজকাল পরোটা ভাজার জন্যও আলাদা কড়াই বানানো হয়। তারা উপযুক্ত তৈজসের ক্ষেত্রে কতটা সচেতন তা এ উদাহরণেই বোঝা যায়। ধাতব কোনো কিছু দেওয়া মাইক্রোওয়েভের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অন্যান্য উপাদানও ক্ষতি করতে পারে। মাইক্রোওয়েভে দেওয়ার যোগ্য না, এমন যেকোনো প্লাস্টিকের পাত্র এড়িয়ে চলতে হবে। ভেতরে যদি সামান্য পরিমাণ প্লাস্টিকও গলে যায়, তাহলেও বড় ক্ষতি হতে পারে। এতে খাবারেরও ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া ওভেনে আগুন লাগলে ক্ষতিটা ভয়াবহ হতে বাকি থাকবে না।
ওভেনের দরজা আটকান মৃদু শক্তিতে : ব্যবহার শেষ হলে খাবার বের করেই অনেকে পেছন ফিরে দরজাটা দরাম করে আটকে দেন। এভাবে করলে দরজা জোরে আটকাতে পারে অথবা ঠিকমতো নাও লাগতে পারে। যন্ত্রটির কোনো অংশ নষ্ট হলে আপনারই ক্ষতি।
খাবার না দিয়ে মাইক্রোওয়েভ ওভেন চালানো : অনেক সময় কোনো খাবার না দিয়েই অনেকে মাইক্রোওয়েভ ওভেন দেন চালু করেন। এটা কত ক্ষতিকর ভাবতেও পারবেন না। ভেতরে কিছু না থাকলে মাইক্রোওয়েভ নিজেই নিজের উৎপাদিত শক্তি শোষণ করে। ফলে মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্লাস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অতিরিক্ত ওজন : মাইক্রোওয়েভ ওভেনের একটা লিমিট আছে। ফ্রিজের মতোই এটি লিটারে হিসেব করা। তাই ধারণক্ষমতার বেশি খাবার এই যন্ত্রে রান্না না করাই ভালো।
সঠিক সার্কিট ব্যবহার না করা : রান্নাঘরের জন্য আলাদা সার্কিট সিস্টেম থাকে। বৈদ্যুতিক প্রবাহের তারতম্য থেকে যন্ত্রে পাওয়ার ইনপুট ভালো না হলে আবার অতিরিক্ত হলে আগুন লাগতে পারে। আর রান্নাঘরে আগুন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct