আপনজন ডেস্ক: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তি তৈরির ক্ষমতা, দ্রুত জবাব তৈরির মতো মানসিক ক্ষমতা কমতে থাকে। এই ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়লেও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। গবেষণায় দেখা গেছে, সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং সুস্থ জীবনধারা স্মৃতিশক্তি ক্ষুরধার রাখতে অনেক উপকারী। স্মৃতিশক্তি ঠিকঠাক রাখার আছে নানা উপায়। এর জন্য আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন। রক্তে ভিটামিন ডির মাত্রা স্বাভাবিক রাখুন। মাঝে মাঝে গান শুনুন। গবেষণা বলে, গান শোনার সময় মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে। প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন। সব সময় কিছু না কিছু লেখার অভ্যাস করুন। যখনই যা কিছু পড়বেন, তা চোখের সামনে চিত্রায়িত করুন। ব্যায়াম, মেডিটেশন ও মননশীলতা অনুশীলন করুন। ব্যায়াম করলে যেমন পেশী বাড়ে, ঠিক তেমনি মস্তিষ্কের আকারও বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্কে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। অক্সিজেন ও গ্লুকোজ সরবরাহ বাড়ে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এক মুঠো বাদাম, কুমড়ার বীজ, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি রাখুন। পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ফাস্টফুড ও মাদক পরিহার করুন। পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যক। কারণ সারা দিন যা পড়বেন, তা আপনার ঘুমের ‘ডিপ স্লিপ' স্টেজে মেমোরি হিসেবে সংরক্ষিত হয়। আর অপর্যাপ্ত ঘুম খুবই ক্ষতিকর। মাছ ও মাছের তেলের পরিপূরক স্মৃতিশক্তি উন্নতিতে অতি উপকারী। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড বিদ্যমান, যা স্মৃতিশক্তির জন্য খুবই উপকারী। যেমন—সামুদ্রিক মাছ, রুই-কাতল জাতীয় মাছ ইত্যাদি। সব সময় গঠনমূলক এবং নতুন কিছু শিখুন। আবার যা শিখবেন তা চর্চায় রাখুন। তাতে মস্তিষ্কে সিন্যাপ্স হবে, যা স্মৃতিশক্তিতে অপরিহার্য। যেমন—নতুন ভাষা। পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের ব্যবহার মনোযোগ দিয়ে করুন। আবার চোখ বন্ধ করে কিছু করার চেষ্টা করুন অথবা প্রতিনিয়ত যে হাত ব্যবহার করেন যে কাজের জন্য, অন্য হাতে সেই কাজ করার চেষ্টা করুন। আবার কখনো কখনো একই সঙ্গে একাধিক কাজ করার চর্চা করুন। এগুলোতে মস্তিষ্কের কিছু অংশ সক্রিয় হয়ে উঠবে, যা সাধারণত নিষ্ক্রিয় থাকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct