আপনজন ডেস্ক: রক্তে শর্করা অথবা সুগার কমানোটা অনেকটা নির্ভর করে শরীরের ওজন, পরিশ্রম, মানসিক চাপ বা জেনেটিক্সের ওপর। তবে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। খাবারে অনেকটাই রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে। যেমন কুমড়ো ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রোটিন ও হেলদি ফ্যাট। কুমড়ো রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কার্যকর সবজি। অনেক দেশে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কুমড়ো ব্যবহার করা হয়। ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ মটরশুটি এবং মসুর ডাল রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এই খাবারে যে ফাইবার এবং স্টার্চের পরিমাণ বেশি থাকে যা ধীরে ধীরে হজম করতে সাহায্য করে। পেটের জন্য অনেক উপকারী এবং হজমে সহায়তার জন্য সুপরিচিত একটি উপাদান আদা। এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা সমান করার জন্যও একটি দুর্দান্ত বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আদা ডায়াবেটিস প্রতিরোধের একটি কার্যকর চিকিৎসা হতে পারে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা এবং লিপিড প্রোফাইলের কিছু ভগ্নাংশ উন্নত করতে পারে। অনেক পরিচিত একটি মসলা হচ্ছে রসুন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে এটি রক্তের শর্করা কমাতে অনেক কার্যকরী। রসুনে থাকা হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস আমাদের রক্তনালিগুলোকে প্রসারিত করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি বহু বছর ধরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিদেশি এই ফলটি রক্তের শর্করা কমাতে অনেক কার্যকরী হিসেবে কাজ করে। ২০০৪ সালে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব নারী চেরি থেকে অ্যান্থোসায়ানিন উপাদান বেশি খেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে প্রদাহ ও ইনসুলিন প্রতিরোধী সৃষ্টি হয়েছিল। নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রক্তে শর্করা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। এতে থাকা উপকারী উপাদান প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমেও রয়েছে অনেক উপকারিতা। তবে, ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই ডিমের কুসুম খাবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct